দুপুর থেকে রাত্রি
তিনজন তেজী ছেলে দুপুরে ছুটছিল সাইকেলে
বুক খোলা শার্ট, তারা রোদ্দুরে অদৃশ্য হয়ে যেতেই
শ্লথ মানুষের ভিড় বেনোজল হয়ে ঘিরে আসে
যে-যার পথের থেকে খুঁটে নেয় কাচ ও পালক
নারী হয় কচিৎ রমণী, ধুলোভরা হাওয়া ঘুরে যায়
আমিও প্ৰস্থান করি অন্তিম পর্বের দিকে
বাসের পা-দানি থেকে শুরু করি
কনুইয়ের ব্যবহার।
দিনের নিয়মমতো দিন শেষ হয়
বাড়ির নিয়মমতো দরজা খোলে, দরজা বন্ধ,
ফের দরজা খোলা
রাত্রে কিছু খুনসুটি সেরে আমি বারান্দায়
সিগারেট ধরিয়ে কেশে কেশে
আচমকা টের পাই-অন্ধকার উদ্ভাসিত করে আছে
এক দৃশ্য
তিনজন তেজী ছেলে ছুটে যাচ্ছে দুরন্ত সাইকেলে
হু-হু বাতাসের মধ্যে তারা নেয় শস্য ঘ্রাণ
সীমাহীনতার মধ্যে ওরা চৈতন্যের তিন পাশা
এই মাত্র দান পড়লো
আমার সামনে এসে হেসে উঠলো
দুনিয়া-কাঁপানো তীব্ৰ হাসি।