দুপুরের বর্ণ
দূর যাত্রিণীর হাতে একটি শুধু গন্ধরাজ ফুল
গাছ তলায় যে বসে আছে, সে এমনই নিথর যেন
বিসর্জন দেওয়া এক মাটির দেবতা
গাছটির মগডালে একটি নীল রঙা মাছরাঙা।
এখন দুপুর খাঁ খাঁ, বাতাসে ভাসে না কোনও গান
কিন্তু ছবি তৈরি হয়, মুহুর্মুহু ছবি বদলায়
রং আছে অফুরন্ত, নিভে যাওয়া রান্নাঘরে
কালো বিড়ালিটি অঙ্গ চাটে
শুষ্ক ঢালা শূন্য রাস্তা, আলো ও ছায়ায় মাঝে মাঝে
পাশ ফিরে শোয়
ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে লতা-গুল্ম, হাওয়া নেই, তবু
কাঁপে একটা হলদে হওয়া পাতা
কলা গাছে লাল পিঁপড়ে, এই মাত্র ডেকে উঠল মেঘ।
পুকুর ঘাটলায় বসে আছে সেন বাড়ির ছোট বউ
কস্তা ড়ুরে শাড়ি পরা, সদ্য তার সিঁথিতে সিঁদুর
দু’ চোখে আঁচল ঘন ঘন, তবু এত অশ্রু জমা হয়ে আছে
কেন, তা সে নিজেও কি জানে?
ফিকে নীল অভিমান নিয়ে সে কি চলে যাবে গভীর অতলে?
একটি রুপোলি মাছ এক ঝিলিকে বলে উঠল, সাঁতার জানো না
জলে নেমো না, লক্ষ্মীটি, একা নামতে নেই, বেঁচে থাকো
কিংবা দেশান্তরী হও, একটা সোনালি দেশে তোমাকে কী সুন্দর মানাবে!