দুটি মাত্র অক্ষর
স্বপ্নে নয়, বুকের মধ্যে একটা কুঁড়েঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে নীরা
হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললে, এসো
তারপর আমি মাঠে মাঠে ঘুরছি, রোদ্দুরে ঝলসে যাচ্ছে
কপাল, কিংবা বৃষ্টি ভিজে সপসপে, ভয় দেখাচ্ছে
জ্যাঠামশাইয়ের বকুনির মতন মেঘের হুংকার
চটি ছিঁড়ে যাক, পায়ে কাঁটা ফুটুক
কিছু আসে যায় না, আমি শুধু শুনতে পাচ্ছি দুটিমাত্র অক্ষরের
পরম বাঙ্ময়তা, যেন মহাকাশের সংগীত
হাট করে খুলে যাচ্ছে দুনিয়ার সব দরজা
গভীর অরণ্য থেকে ভোরবেলায় আলো এসে বলছে, এসো
এইমাত্র জন্ম হল যে-ঝর্নার, সে বলছে, এসো
মধ্য রাত্রির আকাশের শান্ত নীরবতা বলছে, এসো
শুধু প্রকৃতিতে নয়, শুধু হৃদয়ে নয়, শরীর বলছে এসো
ওষ্ঠের অমৃত, স্তনবৃন্তের উষ্ণতা, যোনির লাবণ্য বলছে, এসো
আরও পরে, আরও গভীরে, যেখানে সময়ের সঙ্গে মিশে আছে
চিরকালের শূন্যতা
সেখান থেকেও ডাক শুনতে পাচ্ছি, এসো
এক জন্মের সমস্ত চলে যাওয়ার মধ্যে ধ্বনিত হচ্ছে, এসো—