দাঁড়ের কবিতা
চুপ কর, শোন্ শোন্, বেয়াকুল হোস্নে-
ঠেকে গেছি বাপ্রে কি ভয়ানক প্রশ্নে !
ভেবে ভেবে লিখে লিখে বসে বসে দাঁড়েতে
ঝিম্ঝিম্ টন্টন্ ব্যথা করে হাড়েতে ।
এক ছিল দাঁড়িমাঝি- দাড়ি তার মস্ত,
দাড়ি দিয়ে দাঁড়ি তার দাঁড়ে খালি ঘষ্ত ।
সেই দাঁড়ে একদিন দাঁড়কাক দাঁড়াল,
কাঁকড়ার দাঁড়া দিয়ে দাঁড়ি তারে তাড়াল ।
কাক বলে রেগেমেগে, “বাড়াবাড়ি ঐ ত !
না দাঁড়াই দাঁড়ে তবু দাঁড়কাক হই ত ?
ভারি তোর দাঁড়িগিরি, শোন্ বলি তবে রে-
দাঁড় বিনা তুই ব্যাটা দাঁড়ি হোস্ কবে রে ?
পাখা হলে পাখি হয় ব্যাকরণ বিশেষে-
কাঁকড়ার ‘দাঁড়া’ আছে, দাঁড়ি নয় কিসে সে ?
দ্বারে বসে দারোয়ান, তারে যদি ‘দ্বারী’ কয়,
দাঁড়ে-বসা যত পাখি সব তবে দাঁড়ি হয় !
দূর দূর ! ছাই দাঁড়ি ! দাড়ি নিয়ে পাড়ি দে !”
দাঁড়ি বলে, “ব্যাস্ ব্যাস্ ! ঐখেনে দাঁড়ি দে ।”