বুকের ভেতর সাঁকো ভাঙে, ঘর পু’ড়ে যায়, ইতস্তত
ভস্ম ওড়ে কিংবা কোনো
প্রাচীন গানের রেশ থেকে যায়।
বুকের রুক্ষ ধূসর পথে কখন কে যে উদাস ডাকে।
দেয়াল থেকে চোখ ফিরিয়ে ফের কখনো
অন্ধকারে দেখি মৃত শিশুর মতো
ছিন্নভিন্ন একলা বাদুড় হিম মেঝেতে প’ড়ে থাকি।
জ্যোৎস্নামাখা ঊর্ণাজালের মতো স্মৃতি, তোমার স্মৃতি
হৃদয় জুড়ে কেমন হু-হু বিষাদ গীতি।
রাস্তাজোড়া হাঁসের মিছিল, দোলা যেন হাজার হাজার
শুভ্র ঢেউয়ের; হঠাৎ লোকে
পথ ছেড়ে দেয় সবিস্ময়ে।
ট্রাফিক পুলিশ ঠোঁটের কোষে বাঁশি গুঁজে শূন্যে ভাসে।
ছিন্ন মেঘে ব্যান্ড মাস্টার লাঠি ঠোকে,
বাদ্যরবে পথ হয়ে যায় ফুলের বাজার।
পাখির সঙ্গে শ্বেত করোটি মত্ত নাচে নীল আকাশে।
জ্যোৎস্নামাখা ঊর্ণাজালের মতো স্মৃতি, তোমার স্মৃতি
হৃদয় জুড়ে কেমন হু-হু বিষাদ গীতি।
সুদূর আমার ছেলেবেলার ম্যাজিকঅলা ফুল্ল ঢোলা
কোর্তাপরা বানর হয়ে
ডুগডুগিটা বাজায় হেসে।
স্বপ্নাবেশে সিগারেটের শরীর পোড়াই কয়েকখানা;
হঠাৎ দেখি ভিয়েতনামের জলাশয়ে
কার সে শরীর আছে প’ড়ে কাদায় ঘোলা;
মগজে তার শূন্য বোবা হাত-পাগুলো দিচ্ছে হানা।
জ্যোৎস্নামাখা ঊর্ণাজালের মতো স্মৃতি, তোমার স্মৃতি
হৃদয় জুড়ে কেমন হু-হু বিষাদ গীতি।