তেজীয়ান
চলে খচ্খচ্, রাগে গজ্গজ, জুতা মচ্মচ্ তানে,
ভুরু কট্মট্, ছড়ি ফট্ফট্, লাথি চট্পট্ হানে।
দেখে বাঘরাগ, লোকে ‘ভাগভাগ’ করে আগভাগ থেকে,
ভয়ে লাফঝাঁপ, বলে ‘বাপ্ বাপ্’ সবে হাবভাব দেখে।
লাথি চার চার খেয়ে মার্জার ছোটে যার যার ঘরে,
মহা উৎপাত করে হুট্পাট্, চলে ফুটপাথ পরে।
ঝাড় বর্দার হারুসর্দার ফেরে ঘরদ্বার ঝেড়ে,
তারই বালতি এ, দেখে ফাল দিয়ে আসে পালটিয়ে তেড়ে।
রেগে লালমুখে, হেঁকে গাল রুখে মারে তাল ঠুকে দাপে,
মারে ঠন্ঠন্, হাড়ে টন্টন্, মাথা ঝন্ঝন্ কাঁপে!
পায়ে কালসিটে! কেন বালতিতে মেরে চাল দিতে গেলে?
বুঝি ঠ্যাং যায়, খোঁড়া ল্যাংচায় দেখে ভ্যাংচায় ছেলে।
সন্দেশ—কাতিক, ১৩২৫