তুমি শব্দ ভেঙেছিলে
তুমি শব্দ ভেঙেছিলে, তোমার নিষ্কৃতি নেই, তোমার গরিমা
একা গোধূলির যুপকাষ্ঠে চলে যাবে, আগুন ও পৃথিবীর দেহ, শব
আগুন ও পৃথিবীর দেহের ভিতরে শব্দ, তুমি নীল শব্দগুলি
হলুদ করেছো
তোমার নিষ্কৃতি নেই, তুমি ভেঙেছিলে ভীল রমণীর প্রগাঢ় তামস–
জ্যোৎস্নায় মাদুর পেতে যারা পিকনিক করে, যারা হাসে,
ধুলো ছেড়ে, ধুলো হয়
বিমানপতন কিংবা নেহরুর মুখের ওপর বিস্কুটের গুড়ো, ঝোল,
বোতলের চাবি
সবাই নিঃশব্দ; দশদিকে নজন বন্ধু ছুটে যায়, সিল্কের আঁচলে
দেশলাই, তবু কারো
দৃষ্টির উত্থান আগুন ও পৃথিবীর দেহে নয়, শব্দে নয়–মহুয়া ফুলের
ছায়ায় প্রস্রাব করে একজন, একজন প্রণাম করে—তরুণ বৃক্ষটি
দুজনেরই দিকে হোসেছেন—
তখন কোথায় ছিলে তুমি, কোন পাপ ও দুঃখের মতো অদ্ভুত শীতল
সমতটে? তুমি শব্দ, তুমি হেম, তুমি প্ৰেত, তুমি মুখশ্ৰীর
সর্বনাশ কারখানায় লিপ্ত থেকে শুক্র গন্ধ, বুক-ছেড়া হাসি ও সূক্ষ্মতা–
তোমার নিষ্কৃতি নেই, মৃত্যুর দ্বিতীয় জন্ম, মৃত্যুর অনেক আয়ু
যেমন গভীর
শৃঙ্খলের পদশব্দ, পরিণতি, কাতর নিশ্বাস অরণ্যের মেঘ থেকে
আসে, যায়, ঘোরে–
শোনে প্রত্যেক কীর্তির ভাঙা গলা, বাতাস অতীব লঘু যেমন শ্মশানে—
শ্মশানও নিবন্ত আজ, চতুর্দিকে পড়ে আছে চণ্ডালের হাড়।