তিরতিরে স্রোত
সমস্ত ব্যস্ততা ও হুল্লোড়ের মধ্যেও সব সময় একটা তিরতিরে মন
খারাপের স্রোত। যারা বাঘের পিঠে সওয়ার হয়েছে, তাদের কথা জানি না। বিমান
চালক ও আলুর ব্যাপারীদের নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই, ট্যাক্সির জানলা থেকে
ছুড়ে দেওয়া পয়সা কুড়োয় যে ভিখিরি, আমি তাকে দেখি না, খবরের কাগজের
রক্তস্রোত আমার আঙুলে লাগে, আমি বাথরুমে গিয়ে হাতে সাবান ঘষি, উত্তর
না দেওয়া চিঠি জমতেই থাকে, মনে পড়ে না। জঙ্গলের মধ্যে পথ হারিয়েছে একজন
নিষাদ, কোন গ্রামের একটাও উনুনে আগুন জ্বলেনি, জুতোর প্রখর শব্দ তুলে সেও
নামছে সিঁড়ি দিয়ে, বিশাল প্রাসাদের সব অন্ধকার, শুধু একটি ঘরে
আলো, নদী এসে খেয়ে নিচ্ছে ইস্কুল বাড়ি। না, না, এসব নয়, এসব নয়…
শুধু সর্বক্ষণ একটা তিরতিরে স্রোত বয়ে চলেছে বেঁচে থাকার
মধ্যে। মাঝে মাঝে দেখতে পাচ্ছি একটা বিশাল কালো রঙের সমুদ্রের ঢেউ!