প্রত্যুষে নীড়াশ্রয়ী পাখির ডানায়
শস্যদানার মতো ঘুম ভানার উপর দিয়ে
আলোর উন্মীলনের মধ্য দিয়ে
সেই কবে থেকে তার আসতে-থাকা
নিঃশব্দতার বেড়ি ছুঁড়ে ফেলে
ট্রাফিকের কর্কশতায়্য পা ডুবিয়ে
ভর দুপুরে পথচারীর এক বুক তৃষ্ণায় ঢেউ তুলে
সেই কবে থেকে তার আসতে-থাকা
পাতার মর্মর ধ্বনিকে সঙ্গী ক’রে
অপরাহ্নের আয়েশী রোদের মসলিনে পা ফেলে
কোকিলের গান-চিহ্নিত পথে
সেই কবে থেকে তার আসতে-থাকা
এক নাগাড়ে আপন সৌন্দর্য বলয়ে ঘুরে ঘুরে
সন্ধ্যার সীমানায় নিজেকে ঝংকৃত ক’রে
জোনাকির মালা গলায়
সেই কবে থেকে তার আসতে-থাকা
নিঃসঙ্গতার পিঠে সওয়ার হয়ে
কত ছায়ার ফিসফিসানি গায়ে মেখে
আমার নিদ্রাহীনতাকে মন্থিত শিহরিত করে
সেই কবে থেকে তার আসতে-থাকা।
২৩।১০।৯০