টাইম ট্রাভেল – পরিচ্ছেদ ৫

০৫.

 আবার সামনে ঝুঁকলেন আঙ্কেল জ্যাক। জবাব দিতে গিয়ে হঠাৎ ঘুরে তাকালেন রান্নাঘরের দরজার দিকে।

কি হলো, আঙ্কেল? জানতে চাইল রবিন।

আবার ওদের দিকে ঘুরলেন তিনি। শুনলে না? মনে হয় চেরি। অনিশ্চিত ভঙ্গিতে মাথা নাড়লেন তিনি। অদ্ভুত একটা অনুভূতি হচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন আমাদের ওপর নজর রেখেছে কেউ।

দরজার দিকে তাকাল কিশোর। রবিন আর মুসার চোখও ঘুরে গেল সেদিকে। অস্বাভাবিক কোন কিছু চোখে পড়ল না। 

কই? কিশোর বলল। দেখছি না তো কিছু।

কাঁধ ঝাঁকালেন আঙ্কেল জ্যাক। টপ সিক্রেট কোন কাজ করার সময় সব বিজ্ঞানীরই বোধহয় এ রকম অনুভূতি হয়। সাদা সোয়েটশার্টের আস্তিন টেনে নামালেন তিনি। গভীর ভাবে ভাবছেন মনে হচ্ছে কোন বিষয় নিয়ে।

আঙ্কেল, অস্থির হয়ে উঠল রবিন, তোমার কি মনে হয় আমাদেরকে সাহায্য করতে পারবে?

দীর্ঘ একটা মুহূর্ত চুপ করে রইলেন আঙ্কেল জ্যাক। তারপর জবাব দিলেন, আঁঃ..হ্যাঁ, পারব।  

উত্তেজিত ভঙ্গিতে চেয়ারের হাতলে চাপড় মারল মুসা। সত্যি বলছেন? সত্যি পারবেন?

মাথা ঝাঁকালেন আঙ্কেল জ্যাক। হ্যাঁ। এ মুহূর্তে আমি অবশ্য এ ধরনেরই একটা জরুরী গবেষণায় ব্যস্ত। জিনিসটা তোমাদের ওপর প্রয়োগ করে দেখা যেতে পারে। কিন্তু…

কিন্তু কি? আগ্রহে সামনে ঝুঁকে এল মুসা।

আবার রান্নাঘরের দরজার দিকে তাকালেন আঙ্কেল জ্যাক। জিনিসটা ভীষণ বিপজ্জনক।

ঘন ঘন চোখের পাতা পিটপিট করল কিশোর।

অস্ফুট শব্দ করে উঠল রবিন।

ঢোক গিলল মুসা। তাহলে?

বিপজ্জনক হবে কিনা ঠিক বুঝতে পারছি না, আবার বললেন আঙ্কেল জ্যাক। তবে হতেও পারে।

হোক বিপজ্জনক কিশোর বলল। কাজ হবে তো?

মাথা দোলালেন আঙ্কেল জ্যাক, হ্যাঁ, তা হবে। কাজ হতে বাধ্য। আমি টেস্ট করেছি। টেস্ট করা না থাকলে তোমাদের ওপর প্রয়োগ করতে যেতাম না মরে গেলেও।

তাহলে…তাহলে প্রয়োগ করে দেখোনা আমাদের ওপর, অধৈর্য হয়ে উঠল রবিন।

হ্যাঁ, করুন না, অসুবিধে নেই, কিশোর বলল। মুসাকে জিজ্ঞেস করল, তুমি কি বলো?

আমিও রাজি, মুসা বলল।

ভ্রূকুটি করলেন আঙ্কেল জ্যাক। আবার একবার হারিয়ে গেলেন গভীর চিন্তায়।

তারপর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে আচমকা ওদেরকে চমকে দিয়ে লাফিয়ে উঠে দাঁড়ালেন। বেশ। তাই করব। তোমাদের ওপর প্রয়োগ করব ওই ওষুধ। দেখা যাক, আমার গবেষণা কতখানি সফল হয়।