এইতো আমার ছোট্র নিঝুম ঘরে
দুপুরবেলায় চাঁদের পাপড়ি ঝরে।
আঁধাররাতেই হঠাৎ সূর্য ওঠে,
চোখের পাতায় আকাশ-কুসুম ফোটে।
চেয়ে দেখি একী আমার ঘরের পাশে
রঙিন পালের ময়ূরপঙ্খি আসে।
সেতারের সুরে পৌষের কুয়াশায়
গলির গাছটি নীল পরী হয়ে যায়।
দেয়ালে ঝোলানো পুতুলের গোল মাথা
রাজহংসের চষ্ণুতে আছে গাঁথা।
দরজায় এসে কড়া নাড়ে এক ছায়া,
ঝুলে থাকে রাতে পাষাণপুরীর মায়া।
খোকা ব’সে ভাবে, বাবার লেখার খাতা
কী ক’রে হয়েছে মায়াবৃক্ষের পাতা?
কী যে মজা হয় এ সরু গলিটা যদি
হয়ে যায় আজ খোকার গ্রামের নদী।
ভাবতেই গলি হ’ল নদী লহমায়,
এখানে কত যে জলপরী সাঁতরায়।
ঝুল-বারান্দা হীরে দিয়ে যেন গড়া
শূন্যে ভাসছে খুকির সোনার ঘড়া।
কবিতার বই কী যেন কিসের ঘোরে
অচিন পাখির মতো ঘরময় ওড়ে।
লেখার টেবিল ঝলমলে সরোবর
মনের খেয়ালে বানাল কে জাদুকর?