১ ইস্রায়েল সম্বন্ধে প্রভুর করুণ বার্তা। প্রভু আকাশকে বিস্তৃত করেছেন এবং পৃথিবীকে তার ভিত্তির ওপর বসিযেছেন। তিনিই সেই জন যিনি লোকেদের মধ্যে আত্মা রেখেছেন। আর প্রভুই এইসব কথা বলেছেন।
২ “দেখ, জেরুশালেমকে আমি তার প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে একটি বিষের পাত্রে পরিণত করব। ঐ দেশগুলো জেরুশালেম শহরকে আরমণ করবে। সমগ্র যিহূদা অবরুদ্ধ হবে।
৩ আমি জেরুশালেমকে একটা ভারী পাথরের মত করে দেব। য়ে কেউ তাকে নিতে চেষ্টা করবে সেই ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। তারা কাটা পড়বে এবং তার দ্বারা তাদের আঁচড় লাগবে। তবু পৃথিবীর সমস্ত জাতি জেরুশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে একত্রে আসবে।
৪ সেই সময়ে আমি ঘোড়াদের ভীত করব এবং ঘোড়সওযাররা আতঙ্কগ্রস্ত হবে। আমি শএুপক্ষের সমস্ত ঘোড়াকে অন্ধ করে দেব, কিন্তু আমার চোখ খোলা থাকবে আর আমি যিহূদা পরিবারের উপর নজর রাখব।
৫ যিহূদা পরিবারের নেতারা লোকেদের উত্সাহিত করবে। তারা বলবে, ‘প্রভু সর্বশক্তিমানই আমাদের ঈশ্বর। তিনিই আমাদের বলবান করেন।’
৬ সেই সময়, আমি ঐ নেতাদের বনভূমির একটি আগুনের মত করে দেব। আগুন য়েমন খড়কে পুড়িয়ে ধ্বংস করে, ঠিক তেমনিভাবে তারা তাদের শএুদের সম্পূর্ণরূপে পুড়িয়ে দেবে। তাদের চারিদিকের শএুদেরও তারা ধ্বংস করবে। যাতে জেরুশালেমের লোকেরা আরাম করতে পারে।”
৭ প্রভু প্রথমে যিহূদার লোকেদের রক্ষা করবেন, আর তাই জেরুশালেমের লোকেরা আর বেশী বড়াই করতে পারবে না। দায়ূদের পরিবার ও জেরুশালেমে বসবাসকারী অন্য লোকেরাও বড়াই করে বলতে পারবে না য়ে তারা যিহূদার অন্য লোকেদের চাইতে ভাল।
৮ কিন্তু প্রভু জেরুশালেমের লোকদের প্রতিরক্ষা করবেন। এমনকি সবচেয়ে জবরজঙ লোকও দায়ূদের মত মহাবীর সৈন্য হয়ে উঠবে। দায়ূদ পরিবারের লোকেরা দেবতাদের তুল্য হবে। প্রভুর দূতদের মত, তাদের যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে দেবে।
৯ প্রভু বলেন, “সেই সময়ে জেরুশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে য়েসব জাতি আসবে তাদের আমি ধ্বংস করব।
১০ আমি দায়ূদের ও পরিবারের সদস্যদের এবং জেরুশালেমে বাসকারী লোকেদের আমি ক্ষমাশীল ও দয়ায় ভরা আত্মা দেব। তারা আমার দিকে তাকাবে, সেই একজন যাকে তারা বিদ্ধ করেছিল এবং তারা বিলাপ করবে। একমাত্র পুত্রের বিয়োগে লোকে য়েমন শোক করে তারা সেরকম তীব্রভাবে কাঁদবে। একজনের প্রথমজাত পুত্রের মৃত্যুতে লোকে য়েমন শোক করে, তারা তেমনই শোক করবে।
১১ সেসময় জেরুশালেমে রোদন ও মহাশোকের দিন উপস্থিত হবে। মগিদ্দোন উপত্যকায় হদদ্-রিম্মোণের মৃত্যুতে লোকে য়েমন রোদন করেছিল এসময় সেরকমই হবে।
১২ প্রতিটি পরিবার নিজে থেকেই দুঃখে শোক করবে। দায়ূদ পরিবারের পুরুষ সদস্যরা নিজে থেকেই শোক করবে এবং তাদের স্ত্রীরা নিজে থেকেই রোদন করবে। নাথন পরিবারের পুরুষ সদস্যরা নিজের থেকেই শোক করবে এবং তাদের স্ত্রীরা পৃথক পৃথক ভাবে কাঁদবে।
১৩ লেবির পরিবারের পুরুষ সদস্যরা নিজের থেকেই শোক করবে ও তাদের স্ত্রীরাও নিজে থেকেই কাঁদবে। শিমিযন পরিবারের পুরুষ সদস্যরা নিজে থেকেই শোক করবে এবং তাদের স্ত্রীরাও নিজে থেকেই কাঁদবে।
১৪ অন্যান্য পরিবারগোষ্ঠীর ক্ষেত্রেও সেই একই ব্যাপার হবে। পুরুষেরা ও স্ত্রীলোকেরা নিজে থেকেই কাঁদবে।”