জাখারিয়া ১০

১ প্রভুর কাছে বসন্তকালে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা কর। প্রভু বজ্র পাঠাবেন এবং বৃষ্টি পড়বে। প্রত্যেক ব্যক্তির ক্ষেতে শস্য বৃদ্ধির জন্য ঈশ্বর বৃষ্টি দেন।
২ লোকে মূর্ত্তি ও যাদুর মাধ্যমে ভবিষ্যত্‌ জানতে চেষ্টা করে। কিন্তু সেটা কোন কাজের নয়। যাদুকররা সবসময় তাদের স্বপ্ন ও দর্শন সম্পর্কে কথা বলে কিন্তু সেগুলো সবই নিছক মিথ্যা। তাই লোকেরা সাহায্যের জন্য ভুল পথে চালিত মেষের মত এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং তাদের চালনা করবার জন্য কোন মেষপালক নেই।
৩ প্রভু বলেন, “আমি মেষপালকদের প্রতি অত্যন্ত রুদ্ধ। আমি তাদের শাস্তি দেব। ঐ নেতারা আমার লোকেদের জন্য জবাবদিহি করতে বাধ্য।” (যিহূদার লোকেরা ঈশ্বরের পাল। ঈশ্বর তাদের যত্ন নেন, ঠিক য়েমন একজন সৈন্য তার সুন্দর যুদ্ধের অশ্বের যত্ন নেয।)
৪ “কোণের পাথর, তাঁবুর কীলক, যুদ্ধের ধনু এবং আধিকারিকরা একসঙ্গে আসবে।
৫ তারা হবে য়োদ্ধারা শএু সৈন্যবাহিনীর ওপর রাস্তা ঘাটে কাদা মাড়িয়ে চলে যাবার মত। তারা যখন লড়াই করবে প্রভু তাদের সঙ্গে থাকবেন। তারা অশ্বারোহী সৈন্যদেরও হারাবে।
৬ আমি যিহূদার পরিবারকে বলবান করব। যুদ্ধ জেতার জন্য আমি য়োষেফের পরিবারকে সাহায্য করব। আমি তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনব। তাদের এমন সান্ত্বনা দেব মনে হবে আমি য়েন কখনই তাদের ছেড়ে যাই নি। আমিই প্রভু তাদের ঈশ্বর তাদের সাহায্য করব।
৭ ইফ্রয়িমের লোকেরা য়োদ্ধাদের মত খুশী হবে, যারা পান করবার জন্য প্রচুর দ্রাক্ষারস পেয়েছে। তাদের ছেলেমেযেরাও উল্লাস করবে। তাদের হৃদয় প্রভুতে আনন্দিত হয়ে উঠবে।
৮ “আমি শিস্ দিয়ে তাদের সবাইকে ডাকব। আমি তাদের সংগ্রহ করব। আমি তাদের সত্যিই রক্ষা করব এবং তারা অতীতের মত বংশবৃদ্ধি করবে।
৯ হ্যাঁ, আমি আমার লোকেদের বিভিন্ন জাতির মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছি। সেইসব দূরবর্তী স্থানে তারা আমায় স্মরণ করবে। তারা ও তাদের সন্তানেরা জীবন্ত ফিরে আসবে।
১০ আমি তাদের মিশর ও অশূর থেকে ফিরিয়ে আনব, তাদের গিলিয়দ ও লিবানোন অঞ্চলে নিয়ে আসব। এবং তাদের জন্য যথেষ্ট জায়গা থাকবে না”
১১ (তিনি দুর্য়োগপূর্ণ সমুদ্র পার হবেন এবং দুরন্ত জলরাশিতে আঘাত হানবেন। নীল নদীর গভীরতম জল তিনি শুকিয়ে ফেলবেন। অশূরের গর্বের পতন হবে এবং মিশরের ক্ষমতা নিয়ে নেওয়া হবে।)
১২ প্রভু তাঁর লোকেদের শক্তিশালী করবেন এবং তারা তাঁর কর্ত্তৃত্বে এবং নামে বাঁচবে। প্রভু এইসব কথা বলেছেন।