ছেলেটা
ঐ ছেলেটা পাগল,
ওর কথার কোনো মাথামুণ্ডু, ঠিকানা নেই!
ঐ ছেলেটা সমুদ্রেরও সীমানা চায়,
নদীর কাছে হাজির হয়ে
নদীকে খুব সরল হতে মিনতি করে;
ভিখারীকেও ত্যাগ শেখাতে চেয়েছিল, ঐ ছেলেটা এমন পাগলা,
মৃত্যু দেখে শৈশবে যায়,
লেবু পাতার গন্ধে নাকি অমরত্ব!
নারীর বুকে শপথ রেখে ভেবেছিল, পাখির মতন পবিত্র প্রেম
হাওয়ায় উড়বে
হাওয়ায় উড়বে চোখের জল, যুদ্ধ যেমন মানুষকে খুব
হাসিয়ে মারে,
ঐ ছেলেটা মানুষ দেখলে ধুলো কাদায় ছবি আঁকবে
ধুলো কাদাই ছিটিয়ে বলবে, ভালোবাসতে চেয়েছিলাম,
পৃথিবীময় গোপন কথা, পৃথিবীময় গোপন কথা
অসুখ, সুখ, জননীমুখ, আকাশবাণী, ভোরের কাগজ
ভরিয়ে শুধু গোপন কথা
আলিঙ্গনে এত গোপন, রাজধানীতে এত গোপন
মানুষভরা গোপনতার ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে ঐ ছেলেটা
বিষের ভাণ্ড নিয়ে বিমান থেকে শূন্যে লাফিয়ে পড়ে
শূন্য থেকে ঘুরতে ঘুরতে, আকাশ, হিম-বাতাস থেকে
চোখ সরিয়ে
সভ্যতাকে ডেকে বলে–
ঐ ছেলেটা সভ্যতাকে হাসতে হাসতে ডেকে বলে,
আমায় অধঃপতন থেকে রক্ষা করে।