চোখ বাঁধা
অরুন্ধতি, সর্বস্ব আমার
হাঁ করো, আ-আলজিভ চুমু খাও, শব্দ হোক ব্ৰহ্মাণ্ড পাতালে
অরুন্ধতি, আলো হও, আলো করে, আলো, আলো,
অরুন্ধতি, আলো–
চোখের টর্চলাইট নয়, বুকে আলো, অরুন্ধতি, লাইট হাউস হয়ে
দাঁড়াবে না?
বুকের উপরে দুই পা, ফ্লরোসেন্ট উরুদ্বয়,
মন্দিরের দেয়ালে মাছের
রূপ মনে পড়ে,–কেন এত রূপ? রূপ বুঝি জন্মান্ধের খাদ্য,
বুঝি মহিষের টুকরো লাল কাপড়–
জলে ডুবে সূৰ্য স্তব, চোখ বেঁধে প্ৰণয়ের মতো
অরুন্ধতি, জীবন সর্বস্ব, নাও চোখ নাও, বুক নাও,
ওষ্ঠ নাও, যা তোমার ইচ্ছে তুলে নাও
তুলে নাও, নষ্ট করো, ভাঙো বা ছড়াও, ফেলে দাও, অরুন্ধতি!
যদি ভালোবাসা দাও, অরুন্ধতি, কবিতার পিঠে চুরি মেরে
সহমরণের ব্রতে চলে যাবোম সেই ভালো, একটা চোখ
ছুঁড়ে দিও জলে–
বড় সাধ ছিল আমি স্বর্গে যাবো, মুখ লুকাবো এমন বুকের
ছায়া আছে আর কোথায়, নেই পৃথিবীর উপবনে, নেই রেখাচিত্রে
মাংসের হরষে
না-লুকানো মুখগুলি বড় ব্যস্ত, বড় উপশিরাময়, যেন ঘোরে
প্রতিশোধে, এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে যায়,
মহাশূন্যে, সর্বনাশে
আমিও অপ্ৰেম থেকে ফিরে এসে, অরুন্ধতি, তোমার চোখের
অশ্রুপান করি।
আমিও পৃথিবী, স্বৰ্গ, কলেজ স্ট্রীটের মহা অগ্নিকাণ্ড দেখে
শিল্পকে প্রহার করি, ভেঙেচুরে নষ্ট করি, লাথি মেরে নরকে পাঠাই
তোমার শরীর শিল্প, আমার শরীর শিল্প, অরুন্ধতি তোমার আমার।