চূর্ণ কবিতা
১.
দাওয়ার খুঁটিতে এলিয়ে শরীর বসে আছে ফুল্লরা
ঝাপসা দুচোখ, ময়লা ওষ্ঠে অশ্রুত বারমাস্যা
কটা শতাব্দী পার হয়ে গেল? বাঁকুড়ার গ্রামে জ্যান্ত বাঁধানো ছবি
কবিরা অনেক লিখেছে, এবার সিনেমার লোকে বারবার নেয় ওকে।
২.
তোমার সঙ্গে দেখা হলে জিজ্ঞেস করতাম
তুমি মানুষকে ভালোবাসো না, অথচ দেশকে ভালোবাসো কেন?
দেশ তোমাকে কী দেবে?
দেশ কি ঈশ্বর?
তোমার সঙ্গে দেখা হলে জিজ্ঞেস করতাম
গুলি বিনিময়ে তুমি প্রাণ দিলে দেশ কোথায় থাকবে?
দেশ কি জন্মস্থানের মাটি, না সীমানা?
বাস থেকে নামিয়ে তুমি যাকে হত্যা করলে তার বুঝি দেশ নেই?
তোমার সঙ্গে দেখা হলে জিজ্ঞেস করতাম
তুমি কী করে জানলে আমি তোমার শত্রু?
কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই তুমি আমার দিকে
রাইফেল তুলবে?
৩.
আগের জন্মে ছিলাম আমি ছপটিওয়ালা
এই জন্মে ঘোড়া
নিজের পিঠে চাবুক মেরে ছুটছি, আমার
ভ্রমণ বিশ্বজোড়া!