ঘোরপ্যাঁচে প্রাণগোবিন্দ – ৭

পিউ একটা কাঠের পুতুল কিনল। ঘাড় ধরে ঘোরালেই মুণ্ডুটা খুলে যায়, ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে আর-একটা পুতুল। আবার সেটার পেটের মধ্যেও আবার একটা পুতুল। আর-একটা কাচের চুড়িওয়ালা তার দুহাতে কী সুন্দর সব জরি বসানো কাচের চুড়ি পরিয়ে দিল। একটুও ব্যথা লাগল না। কাঠের চিরুনি সে কখনও দাখেনি। দু’টো নিল। একটা মাকে দেবে। পিয়ালের জন্য নিল বাঁশি আর বেলুন আর প্লাস্টিকের ব্যাট-বল। দাদু আর ঠাকুরমার জন্য কিছু একটা নেওয়া উচিত। কী নেবে ভাবছিল! এমন সময় দেখতে পেল, মেলার গেটের দিকে একটা ভারী সুন্দর রঙিন তাঁবু। তার বাইরে লাল শালুর উপর সাদা অক্ষরে লেখা: বিক্রমজিতের ম্যাজিক শো!’

সে চেচিয়ে উঠল, এই তো বিক্ৰমজিতের ম্যাজিক!

হলধর উঁচু হয়ে বসে সুরবালার ফরমাশ অনুযায়ী ভারী লোহার চাটুর দরদাম করছিল। বলল, ম্যাজিক দেখতে গেলে দেরি হয়ে যাবে দিদি! সাড়ে সাতটা বেজে গেছে।

আমি যে বিক্ৰমজিতকে চিনি! ভীষণ ভাল ম্যাজিক দেখায়। সে আমাকে চকোলেট দিয়েছিল।

এই তো মুশকিলে ফেললে দিদি! দেরি হয়ে গেলে আমি বকুনি খাব!

বাঃ রে! আমরা তো এখনও দাদুকেই খুঁজে পাইনি! ঘুড়ির মধ্যে যে লেখাছিল দাদু এই মেলাতেই আছেন।

হলধর ফাপড়ে পড়ে বলল, বুড়ো মানুষরা কি আর মেলায় ঘুরে বেড়ান! দ্যাখো গে যাও, দাদু এতক্ষণে বাড়ি ফিরে বসে চা খাচ্ছেন!

তুমি কী করে জানলে?

একগাল হেসে হলধর বলে, তা আর জানব না! এসময় চা না খেলে যে কর্তবাবু তেড়ে ইংরিজি বলেন! আমার সঙ্গে একদিনে এমন ইংরিজি বলেছিলেন যে, রাতে আমার মোটে ঘুমাই হল না, আর মোক্ষদা তো ইংরিজি বকুনির চোটে হাউমাউ করে কী কান্নাই কাঁদল। তখন কর্তামা। তাড়াতাড়ি চা করে দেওয়ার পর চা খেয়ে তবে কর্তবাবু বাংলায় নামলেন।

যাঃ, দাদু মোটেও ওরকম নন! আচ্ছা হলধরদাদা, ওই ট্যারা লোকটাকে লক্ষ করেছ?

ট্যারা লোক! না তো! কার কথা বলছ?

আমরা যখন নসিগঞ্জে ভ্যানে উঠছি, তখন বাজারের কাছ থেকে লোকটা খুব লক্ষ করছিল আমাদের। এখন দেখছি মেলাতেও লোকটা আমাদের সঙ্গে-সঙ্গে ঘুরছে।

হলধর বলল, তোমার রাঙা টুকটুকে জামাটা দেখেছে বোধ হয়, গাঁয়ের গরিব লোক তো সব, এত সুন্দর পোশাক তো বড় একটা দ্যাখে না।

না হলধরদা, আমি তাকালে লোকটা চোখ ফিরিয়ে নিয়ে কোথায় যেন লুকিয়ে পড়ছে।

ভয় পেও না দিদি, আমি তো সঙ্গেই আছি।

আমি মোটেই ভয় পাইনি।

ট্যারা লোকটা কাকে দেখছে তা তো বোঝবার উপায় নেই কিনা! তারা কাকের দিকে তাকিয়ে হয়তো বক দেখতে পায়। রামবাবুর দিকে চেয়ে শ্যামবাবুর সঙ্গে কথা কয়।

ঠিক এই সময় জোকারের পোশাক পরা একটা লোক এগিয়ে এসে পিউকে বলল, ম্যাজিক দেখবে না খুকি? বিক্ৰমজিতের ম্যাজিক? এই নাও দু’টো টিকিট। ম্যাজিক এক্ষুনি শুরু হবে।

বলেই লোকটা ভিড়ের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেল।

পিউ হাতের দু’খানা টিকিটের দিকে চেয়ে বলল, দেখলে তো হলধরদাদা, বিক্ৰমজিৎ কেমন ভাল!

হলধর আমতা-আমতা করে বলল, তাই তো দিদি, বিক্ৰমজিৎ তো তোমার চেনা লোকই দেখছি। তা, দেরি একটু হলে হােক। বিনে পয়সায় বরং ম্যাজিকটা একটু দেখেই যাই চলো।

দু’জনে তাঁবুতে গিয়ে ঢুকে ভারী অবাক হয়ে গেল। সারি-সারি চেয়ার সাজানো আছে বটে, কিন্তু একটাও লোক নেই। তাঁবু একদম ফাঁকা। সামনে ছোট একটা স্টেজ। পরদা ফেলা। তারা বসতে নাবসতেই পারদা সরে গেল। বিক্ৰমজিৎ স্টেজে এসে দাঁড়াল। ঠিক সকালে যেমন দেখেছিল, তেমনই কালো কোটি আর প্যান্ট, লাল টাই, মাথায় টুপি বিক্ৰমজিৎ ম্যাজিক দেখাতে শুরু করে দিল।

হলধর চাপা গলায় বলে, ইরে বাবা, কত চটপট দেখাচ্ছে! এত তাড়াহুড়োর কী আছে বলো তো!

কথাটা সত্যি। বিক্ৰমজিৎ বড় তাড়াতাড়ি ম্যাজিক দেখাচ্ছে। মুখে কোনও কথা নেই। টুপি থেকে বের করছে। কাচের গ্লাস, ফুলদানি, জ্যান্ত সাপ, খরগোশ, পায়রা। তারপর হঠাৎ একটা লাল চাদর দুহাতে ধরে উঁচু করে নিজেকে আড়াল করল বিক্ৰমজিৎ চাদরটা দু’-একবার দুলে উঠেই পড়ে গেল নীচে। দেখা গেল বিক্রমজিৎ চাদরের আড়ালে নেই, কোথাও নেই। কিন্তু হঠাৎ একটা চাপা শিসের শব্দ হল ফেন। আর তারপরই স্টেজের উপরে উঠে এল একটা ভয়ংকর সাদা কুকুর। মাত্র একবার একটা ‘আউফ’ শব্দ করে সেটা স্টেজ থেকে একটা লাফ দিয়ে নেমেই সোজা ছুটে এল তাদের দিকে।

পিউ আর হলধর কিছু বুঝে ওঠার আগেই কুকুরটা সোজা এসে লাফিয়ে পড়ল তাদের উপর। দু’জনেই চেয়ার উলটে পড়ে গেল মাটিতে। ঠিক এই সময় আর-একটা তীব্র শিসের শব্দ হল পিউ। চিৎকার করে উঠল, মা গো!

চোখ বুজে ফেলেছিল পিউ। এত ভয় সে কখনও পায়নি। ভয়ে শক্ত হয়ে পড়ে রইল সে। কুকুরটা কি কামড়াবে তাকে? কেন কামড়াবে? সে তো কিছু করেনি!

কারা যেন এসে দাঁড়াল কাছে। কে একজন তাকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে বলল, ভয় নেই মা। কোনও ভয় নেই।

পিউ চোখ চেয়ে অবাক হয়ে দেখল, কয়েকজন লোক তাদের চারদিকে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের মধ্যে একজন গোরংদাদা, আর দাদু।

দাদু তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন, কোনও ভয় নেই ভাই, কোনও ভয় নেই।

কুকুরটা যে আমাকে কামড়ে দিচ্ছিল!

হ্যাঁ, কপাল ভাল, তাই অল্পের জন্য বেঁচে গেছ। এই যে ছেলেটাকে দেখছ, এ হল টক্কেশ্বর। এ-ই বুদ্ধি করে শিসটা ঠিক সময়ে দিয়েছিল। আর তাইতেই কুকুরটা ঘাবড়ে গিয়ে ফিরে যায়। নইলে এতক্ষণে কী হত, ভাবাই যায় না।

কুকুরটা কেন আমাকে কামড়ে দিচ্ছিল দাদু! আমি তো কিছু করিনি!

না, তুমি কিছু করেনি। কিন্তু বাইশ বছর আগে তোমার দাদু কিছু করেছিল। আর এটা তারই প্রতিশোধ।

গোকুল বিশ্বাস আর তার কয়েকজন শাগরেদ। বাদাম ঘোষ, গোরাং দাস, টক্কেশ্বর-সবাই এসে প্রাণগোবিন্দবাবুকে ঘিরে বসে গেল। গোকুল বলল, ব্যাপারটা আমার মাথায় এখনও সেঁধোয়নি। একটু বুঝিয়ে বলুন।

প্রাণগোবিন্দ ব্যথিত মুখে বললেন, এ বড় সুখের গল্প নয়। বাইশ বছর ধরে যে কেউ এত রাগ পুষে রাখতে পারে, তার ধারণাও আমার ছিল না। বটুককে রাস্টিকেট করার যে এতখানি মূল্য দিতে হবে, তাও জানা ছিল না! সে আমাকে একেবারে শেষ করে দিতে চেয়েছিল বটে, কিন্তু খুব ধীরে-বীরে, দগ্ধে-দগ্ধে। সরাসরি মেরে দিলে আর মজা কী? তাই সে গোকুলের গোরু চুরি করে আমার গোয়ালে চালান দেওয়া আর মুক্তিপণ আমাকে দেওয়ানোর ব্যবস্থা করে। সে ভালই জানে, এই গ্ৰামদেশে একবার কলঙ্ক আর বদনাম হলে সহজে তা শ্বলন হয় না, আর গাঁয়ের লোকরা এসব জিনিস সহজেই বিশ্বাস করে। কাজেই আমাকে গোরুচোর এবং মুক্তিপণ আদায়কারী এক জঘন্য লোক বলে সে দেগে দিতে চেয়েছিল, তাতে চরিত্রহনন যেমন হবে, তেমনই আমার হবে বুদ্ধিনাশ। শুধু এটুকু করেই সে ক্ষান্ত হয়নি, তার ভিতরে বাইশ বছর ধরে যে কত রাগ পুষে রেখেছে, তার আরও ভয়ংকর প্ৰতিশোধ চাইছিল। আর এর জন্যই সে বেছে নেয় আমার নাতনিকে। আমার এই আদরের নাতনিকে খুন করলে আমি বেঁচে থেকে মৃত্যুর অধিক যন্ত্রণা পাব, এটা সে ভালই জানে। এজন্য সে বুদ্ধি করে ম্যাজিশিয়ান সেজে বাসের মধ্যে খেলা দেখায়, আর আমার নাতনি তার বেশ ভক্ত হয়ে পড়ে। নানা কৌশলে সে পিউকে টেনে আনে এই মেলায়। প্ল্যান সে ভালই করেছিল। নির্জন তাঁবুর মধ্যে কুকুর দিয়ে বাচ্চা মেয়েটাকে খুন করলে পুলিশ তাকে ধরতেও পারত না। গ্ৰামদেশের পুলিশ অত তৎপর নয়। তার উপর সাক্ষসবুদও নেই।

টক্কেশ্বর বলল, বটুকবাবুর কুকুরটার রং কিন্তু কালো।

প্ৰাণগোবিন্দ বললেন, হ্যাঁ, কুকুরটাকে কামোফ্লাজ করার জন্য সেটার গায়ে সাদা রং লাগিয়ে নিয়েছিল সে। আমরা খবর নিয়েছি, এ তাঁবুতে বিক্রমজিতের ম্যাজিক শো হয় না, হয় পুতুলনাচ। আর সেটা হয় দুপুরে। বাইরে যে লাল শালু টাঙানো আছে, সেটা শুধু আমার নাতনিকে টেনে আনার জন্যই।

গোকুল বিশ্বাস বলে, কিন্তু কুকুরটা সবাইকে ছেড়ে আপনার নাতনির দিকেই বা তেড়ে এল কেন?

এখানেও গোকুলের ক্ষুরধার বুদ্ধির কথা বলতে হয়। সকালে বাসের মধ্যে সে আমার নাতি আর নাতনিকে চকোলেট-বার দিয়েছিল। আমার দৃঢ় ধারণা, পিউকে দেওয়া চকোলেটটার মধ্যে এমন কিছু সে মাখিয়ে দিয়েছিল, যার গন্ধ পিউয়ের শরীরে থেকে যাবে। মানুষের নাক সে গন্ধ টের পাবে না বটে, কিন্তু কুকুরের জ্ঞানেন্দ্ৰিয় অনেক তীক্ষ্ন। আমার আরও মনে হয়, যে মেয়ে পুতুল দিয়ে সে কুকুরটাকে ট্রেনিং দিচ্ছিল, সেটার গায়েও ওই গন্ধ মাখানো আছে। পিউ যদি আজ মেলায় না-ও আসত, তা হলেও ছড়ত না বটুক । পিউকে যেখানে পেত, সেখানেই সে তার কামোপ্লাজ করা খুনে কুকুর লেলিয়ে দিত।

গোকুল বিশ্বাস একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, প্রাণগোবিন্দবাবু, কবুল করছি আমিও এক সময় পাজি লোক ছিলুম বটে, কিন্তু এত শয়তানি বুদ্ধি আমারও ছিল না।

যেসব খারাপ লোক বুদ্ধিমান হয় তারাই সবচেয়ে বিপজ্জনক। তার প্ল্যানিং দেখে আমি অবাক হয়ে গেছি। টুকরোটাকরা ঘটনাগুলোকে সাজাতে গিয়ে ধরা পড়ল, যা সব ঘটেছে তা একটা সুতোয় বাঁধা। এই সাজাতে গিয়ে বড় দেরি হয়ে গেল। একেবারে শেষ সময় পিউকে বাঁচানো গেছে, তাই ঢ়ের। টক্কেশ্বর রোজ বটুকের বাড়ির দেওয়ালে উঠে সব লক্ষ করত। কোন শিস দিলে কুকুরটা তেড়ে যায়, কোন শিসে ফিরে আসে, তা শিখে গিয়েছিল। ওর শিসটা ঠিকমত কাজ না করলে অবশ্য আপনাকে গুলি চালাতেই হত গোকুলবাবু। তবে তাতে পিউয়ের রিস্ক ছিল।

গোকুল বিশ্বাস মাথা নেড়ে বলল, না মশাই, না। আমার হাতের টিপ এখনও অব্যৰ্থ। এক চুল এদিক-ওদিক হওয়ার জো নেই। বিশ্বাস না হয় পরীক্ষা করে দেখুন!

রক্ষে করুন। পরীক্ষার দরকার নেই। তবে কুকুরটাকে যে মারতে হয়নি, এটাতে আমি স্বস্তিই বোধ করছি।

পিউ দাদুর গলা জড়িয়ে ধরে বলল, দাদু, বিক্রমজিৎ কি খারাপ লোক? আমার যে তাকে খুব ভাল লাগে! কী সুন্দর ম্যাজিক দেখায়!

হ্যাঁ দিদিভাই। তার গুণও অনেক। ওই বুদ্ধি কাজে লাগালে সে অনেক ভাল কাজও করতে পারত। কিন্তু অলস মস্তিষ্ক শয়তানের বাসা। বাপ-ঠাকুরদার অঢেল পয়সা পেয়ে সে কর্মবিমুখ হয়ে গিয়েছিল, আর তার প্রচণ্ড রাগও ছিল তার বড় শত্রু।

ঠিক এই সময় তাঁবুর পরদা সরিয়ে দরোগাবাবু এসে ঢুকলেন। প্ৰাণগোবিন্দবাবুকে প্ৰণাম করে বললেন, সরি মামাবাবু, কুকুরটাকে গুলি করে মারতে হয়েছে। কিছু করার ছিল না। বটুককে অ্যারেস্ট করার সময় কুকুরটা ভীষণ ভায়োলেন্ট হয়ে ওঠে। কুকুরটাকে মারতেই বটুকবাবু কোলাপস করেন।

প্রাণগোবিন্দ বললেন, খুবই দুঃখের কথা, কুকুরটাকে সে খুবই ভালবাসত, যেমন ওই গোকুল বিশ্বাস তার গোরুটাকে ভালবাসে, যেমন আমি আমার এই নাতনিটাকে ভালবাসি। এসব ভালবাসার গল্পের সঙ্গে যখন ঘৃণা-বিদ্বেষ এসে মিশে যায়, তখনই হয় বিপত্তি। নইলে ভালবাসার মতো এমন শুদ্ধ জিনিস আর কী আছে বলো!

দারোগা সুধাবিন্দু বললেন, তা বটে।

সকালবেলা সুরবালা খুবই চোঁচামেচি করছিলেন, ও পিউ, এ কাকে দাদু বলে ধরে নিয়ে এলি ভাই? সেই আলাভোলা ভালমানুষ লোক তো এ মোটেই নয়। এই ধুরন্ধর লোকটা তোর দাদু হয় কী করে, অ্যাঁ?

তা হলে বলতেই হবে, ওই বৃক্ষবাসী বাদামচন্দ্ৰ ঘোষের পাল্লায় পড়ে তোর দাদু একেবারে উচ্ছন্ন গেছে। আগে চায়ে চিনি কম-বেশি হলে টের পেত না। বাজারে গেলে হিসেব মেলাতে পারত না! সংসারের কোনও খবরই রাখত না। কিন্তু এখন তো দেখি কেবল টিকটিক করছে, এটা হল না কেন, ওটা হল কেন? এক রাত্তিরেই আমার হাড় ভাজা-ভজা হয়ে গেল। এখন এই নতুন লোককে সামলাব কী করে বল তো?

উঠোনের কোণে বসে। হলধর খড় কাটছিল। মুখ তুলে বলল, যা বলেছেন মাঠান। আগে কত্তাবাবুর চোখ দুটো ছিল গোরুর চোখের মতো ঠান্ডা। এখন একেবারে টর্চবাতির মতো জ্বলতে লেগেছে।

বাইরের বারান্দার সিঁড়িতে বসে গোরাং দাস মাথা চুলকোতে চুলকোতে বলল, বলেছিলাম না কত্তাবাবু, বড় ভজঘট বেধে উঠবো! আমাদের যে সব হিসেবনিকেশ উলটে গেল!

প্রাণগোবিন্দ মৃদু-মৃদু হেসে আপনমনে শুধু বললেন, হুঁ হুঁ বাবা!