ঘর

ঘর

পাহাড় সমুদ্র আর অরণ্যের স্তব লিখে লিখে
ক্লান্ত এক কবি আজ ঘুমিয়েছে একলা ছোট ঘরে,
যখন সে জেগেছিল, ছোট ছোট ঘর ভর্তি এই পৃথিবীকে
উদার প্রশস্ত চোখে চেয়েছিল বাসনার স্তরে।

কৈশোরে অম্লান এক শ্বেতপদ্ম ছিল তার বুকে ।
প্ৰসন্ন রৌদ্রের আলো টলোমলো স্বচ্ছ সরোবর
এবং উদাস, নীল, আকাশের পরিপূর্ণ সুখে
মুগ্ধতার নানাবর্ণ চিত্রশিল্পে ভরেছে অন্তর ।

জীবন বিশাল করো, হে আকাশ, পথে পথে ঘুরে
এখন সে বলে উঠলো, সত্যকার জীবনের মুখোমুখি এসে
লক্ষ বাহু তুলে ধরো, হে অরণ্য, অসহিষ্ণু যৌবনের সুরে
কোথায় এসেছি আমি–অসহ্য এ স্পন্দহীন দেশে।

দিবাস্বপ্নে সব ছিল, সমুদ্র আকাশ মাঠ বন
তবু তার দিন ভরলো সঙ্কীর্ণের নানান আঘাতে ।
কাচের জানালার পাশে পাখির মতন তার মন
শ্বেতপদ্ম খুঁজতে এল কোন এক যুবতীর হাতে ।

এখন নিতান্ত ক্লান্ত যুবকটি ঘুমিয়েছে একা ;
স্বপ্ন নেই আকাশের, তৃপ্তি নেই পাহাড়ে সাগরে ।
পরাজিত মহত্বের সঙ্গে হবে অন্য চোখে দেখা ;
দ্বিতীয় পৃথিবী এক প্রতীক্ষায় বসে আছে তারই ছোট ঘরে।