গ্রীষ্মের জয়
দুপুরবেলায় পাখা ঘুরলেও প্রাণ হাঁসফাঁস
মধ্যরাতেও গরম কমে না মশা ঠাসঠাস।
একশো বছর আগেও এমনি ছিল এই দেশ
ঘামাচি, কলেরা, পান বসন্ত, কষ্ট অশেষ।
ছিল না বিজলি, ফ্রিজ-পাখা আর ঠান্ডা মেশিন
কী করে যে লোকে প্রবল গ্রীষ্মে বাঁচতো সেদিন
চামড়ায় জ্বালা, ফেঁড়ায় ফু দেয় জনসাধারণ
বিদ্যাসাগর সে সময় লিখেছেন ব্যাকরণ!
সাহেবি পোশাক ভিজে জবজব, কুলকুল ঘাম
মাইকেল দেবী সরস্বতীকে করেন প্রণাম।
মেয়েরা মেঝেতে গড়ায়, শিশুরা করে ছটফট
বঙ্কিমবাবু লিখে ফেললেন আনন্দমঠ।
বীরভূমে হাওয়া আগুন ছড়ায়, ব্যাঙ চিৎপাত
তার মধ্যেই গানে সুর দেন রবীন্দ্রনাথ
শিলাইদহেও গরম কি কম? ফুটিফাটা মাঠ
কথা ও কাহিনী লিখে চলেছেন কবি সম্রাট।
তা হলেই বলো, গরমই তো ভালো, ঘামের গন্ধে
অমর কাব্য লেখা হয় কত নতুন ছন্দে!