গ্রন্থস্বত্ব

আমাকে চমকে দিয়ে কখনো কখনো
আমার ভেতরে কেউ একজন হো-হো হেসে ওঠে,
মাছে মাঝে নিঝুম গুমরে কাঁদে নিভৃত আড়ালে,
কাঁদে একা একা।

আমাকে কিছু না বলে অকস্মাৎ গহন রাত্তিরে
গৃহত্যাগী গৌতমের মতো
চলে যায় হেঁটে বহুদূরে, যেন সব
সম্পর্ক চুকিয়ে চলে যায়। কোথায় যে
যায় কত ধু-ধু বাঁক পেরিয়ে, জানি না।
যখন সে করে না বসত আর আমার ভেতর,
তখন স্মৃতিতে তার ছায়া
বড় বেশি আনাগোনা করে। দীর্ঘকাল
প্রতীক্ষায় থাকি তার; কিন্তু আসে না সহজে সেই পর্যটক
আমার ইচ্ছাকে দিতে একান্ত পুষ্পিত উপহার।

আবার এমনও হয়, এত্তেলা ছাড়াই
ধুয়ে মুছে কায়ক্লেশ ওজু করে স্বপ্নের ভেতরে বেদনায়।
তার চোখে রহস্যের ভাষা
ভাষতীত বোধ বুনে দেয়। অকস্মাৎ সে পড়শি
তর্জনী উঁচিয়ে
আমার সকল গ্রন্থস্বত্ব দাবি করে। আর গূঢ়
অনিবার্য উচ্চারণ শুনে
বিস্ময়ের পাখি ঠোকরায় আমাকে এবং আমি
ধন্দে পড়ে যাই।