এই যে হলুদ রঙ বাড়িময় তরুণ তরুণী,
শিশুদের মাতিয়ে রেখেছে, তোমাকেও ক্রমাগত
আমার নিকট থেকে দূরে নিয়ে যাবে, বহুদূরে।
মনে পড়ে, এতটুকু তুমি চোখ বোজা, জননীর
পাশে শুয়েছিলে হাসপাতালের ধবধবে বেডে।
হঠাৎ তোমার কান্না শুনে চম্কে উঠেছিলাম
গোধূলিতে; ক’বছর পরে খুব ভোরবেলা তুমি
মৃত পোষা পাখিটাকে কোলে নিয়ে বারান্দায় একা
বসেছিলে, চোখে অশ্রুজল সে কথা ভুলিনি এই
বয়সেও; হে আত্মাজা, আজ গায়ে হলুদ তোমার।
কান্নায় উথলে ওঠে অগোচরে সারা বাড়ি হৈ- চৈ
আনন্দের অন্তরালে, আমার নিজের কান্না মেশে
বারান্দা, রেলিং সিঁড়ি, আলমারি, বুক শেল্ফের
সারি সারি বই আর টেবিলের চোখের পানির
সঙ্গে বুক যেন হু হু খাঁচা। হৃদয়ের এত কাছে
ছিলে, কত দূরে চ’লে যাবে। মনে হয়, বহু শ্রুত
লোক কাহিনীর কোনো অধ্যায় উঠছে ভেসে আর
সারা বাংলার গায়ে হলুদ মাখছে একে-একে
সবাই আজকে কনে-দেখা আলোয় গানের সুরে,
আমার অন্তরে বিস্মিল্লাহ্ খান ডুকরে ওঠেন।
১৮।২।৯১