ওল্ড স্টেটমেন্ট
নিউ স্টেটমেন্ট
1 of 2

গালাতীয় ০৪

১ আমি তোমাদের একথা বলতে চাইছি, – উত্তরাধিকারী যতদিন শিশু থাকে ততদিন তার সঙ্গে একজন দাসের কোন তফাত্ থাকে না; যদিও সেই শিশু সব কিছুর মালিক।
২ কারণ সে যত দিন শিশু অবস্থায় থাকে তাকে অভিভাবক এবং সংসার পরিচালকের কথা অনুযাযী চলতে হয়। সাবালক হবার জন্য য়ে বয়স তার পিতা নির্ধারণ করে দেন, সেই বয়সে পৌঁছলে সে স্বাধীন হয়।
৩ একথা আমাদের পক্ষে একইভাবে প্রয়োজ্য। আমরা যখন শিশুদের পর্য়ায়ে ছিলাম, তখন আমরা এই জগতের কতকগুলি প্রাথমিক নিয়ম কানুনের অধীনে ছিলাম,
৪ কিন্তু নিরুপিত সময়ে ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে পাঠালেন। ঈশ্বরের পুত্র একজন স্ত্রীলোকের গর্ভজাত হলেন এবং বিধি-ব্যবস্থার অধীনে জীবন কাটালেন,
৫ যাতে তিনি বিধি-ব্যবস্থার অধীন সমস্ত লোকদের স্বাধীন করতে পারেন এবং য়েন আমরা সকলে তাঁর পুত্ররূপে স্বীকৃতি পাই।
৬ তোমরা সকলেই ঈশ্বরের সন্তান, সেইজন্যই তাঁর পুত্রের আত্মাকে তিনি তোমাদের অন্তরে পাঠিয়েছেন। সেই আত্মা ডেকে ওঠে, ‘পিতা, পিতা’ বলে।
৭ তাই তোমরা আগের মতো আর দাস নও কিন্তু ঈশ্বরের পুত্র; আর য়েহেতু তোমরা পুত্র তাই ঈশ্বর তাঁর প্রতিশ্রুত বিষয়গুলি তোমাদের দেবেন।
৮ অতীতে যখন তোমরা ঈশ্বরকে জানতে না, তখন তোমরা য়ে সমস্ত দেবতার সেবা করতে, তারা ঈশ্বর নয়।
৯ কিন্তু তোমরা এখন সত্য ঈশ্বরকে জেনেছ অথবা এটা বলা ভাল য়ে ঈশ্বরই তোমাদের জেনেছেন। তাই পূর্বে য়ে সব নিরর্থক ও দুর্বল নিয়ম-কানুন ছিল সেদিকে আবার কেন ফিরছ? তোমরা কি আবার ঐ সকলের দাস হতে চাও?
১০ তোমরা কেবল বিশেষ বিশেষ দিন, মাস, ঋতু ও বছর পালন করছ।
১১ তোমাদের দেখে আমার ভয় হয় য়ে, তোমাদের মধ্যে হয়তো আমি বৃথাই পরিশ্রম করেছি।
১২ আমার ভাই ও বোনেরা, আমি তোমাদের মতো ছিলাম, তাই মিনতি করি তোমরা আমার মতো হও। তোমরা আমার সঙ্গে কোন খারাপ ব্যবহার কর নি।
১৩ তোমরা তো জান, আমি অসুস্থ ছিলাম বলে প্রথমেই তোমাদের কাছে সুসমাচার প্রচার করি।
১৪ যদিও আমার অসুস্থতা তোমাদের সবার কাছে এক পরীক্ষাস্বরূপ হয়েছিল, তবু তোমরা এমনভাবে আমাকে গ্রহণ করেছিলে য়েন আমি ঈশ্বর হতে আগত স্বর্গদূত, য়েন স্বয়ং যীশু খ্রীষ্ট।
১৫ এখন তোমাদের সেই আনন্দ কোথায়? আমি তোমাদের সম্বন্ধে এই সাক্ষ্য দিতে পারি য়ে তখন সন্ভব হলে তোমরা আমার জন্য নিজের নিজের চোখ উপড়ে আমাকে দিতে দ্বিধা করতে না।
১৬ এখন তোমাদের কাছে সত্য বলছি বলে কি আমি তোমাদের শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছি?
১৭ সেই লোকরা তোমাদের প্রতি আগ্রহী হয়েছে, কিন্তু তা কোন ভাল উদ্দেশ্যে নয়। তারা তোমাদের কাছ থেকে আমাদের আলাদা করতে চায়, য়েন তোমরা তাদের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ কর।
১৮ অবশ্য আগ্রহ দেখানো ভাল কেবল যদি সত্ উদ্দেশ্যে তা করা হয়। আমি যখন তোমাদের মধ্যে উপস্থিত থাকি কেবল তখনই নয় বরং সবসময়েই তা থাকা ভাল।
১৯ হে আমার প্রিয় সন্তানরা, তোমাদের জন্য আমি আর একবার প্রসব যন্ত্রণা ভোগ করছি। তোমাদের নিয়ে আমাকে এই যন্ত্রণা ভোগ করতেই হবে যতদিন পর্যন্ত না তোমরা খ্রীষ্টের মতো হয়ে ওঠো।
২০ এখন তোমাদের কাছে য়েতে আমার খুব ইচ্ছা করছে, তাহলে ভিন্নভাবে এসব নিয়ে আলোচনা করতে পারতাম। আমি জানি না তোমাদের নিয়ে আমি কি করব।
২১ আমাকে বলতো, তোমাদের মধ্যে কে মোশির বিধি-ব্যবস্থার অধীন থাকতে চায়? তোমরা কি জান না বিধি-ব্যবস্থা কি বলে?
২২ শাস্ত্র বলছে য়ে অব্রাহামের দুটি পুত্র ছিল, একটি পুত্রের মা ছিল দাসী স্ত্রী, অপর পুত্রের মা ছিল স্বাধীন স্ত্রী।
২৩ দাসী স্ত্রীর গর্ভে অব্রাহামের য়ে সন্তান জন্মেছিল তার জন্ম স্বাভাবিকভাবেই হয়েছিল, কিন্তু স্বাধীন স্ত্রীর গর্ভে অব্রাহামের য়ে সন্তান জন্মেছিল, সে অব্রাহামের কাছে ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতির ফলেই জন্মেছিল।
২৪ এই বিষয়গুলি রূপকের মতো ব্যাখ্যা করা যায়। এই দুই মহিলা দুটি চুক্তির প্রতিনিধিত্ব করে, একটি চুক্তি য়েটা সীনয় পর্বত থেকে এসেছিল, সেটা একদল লোকের জন্ম দিয়েছিল দাসত্বের জন্যে। য়ে মাতার নাম হাগার, সে এই চুক্তির সঙ্গে তুলনীয়।
২৫ হাগার হলেন আরবের সীনয় পর্বতের মতো। তিনি বর্তমান ইহুদীদের জেরুশালেমের প্রতিরূপ, কারণ সেই জেরুশালেম তার লোকদের সাথে দাসত্বের বন্ধনে বদ্ধ।
২৬ কিন্তু স্বর্গীয় জেরুশালেম স্বাধীন মহিলা স্বরূপ। সেই জেরুশালেম আমাদের মাতৃসম।
২৭ কারণ শাস্ত্রে লেখা আছে:‘হে বন্ধ্যা নারী, তোমরা যাঁরা সন্তানের জন্ম দাও নি! তোমরা আনন্দ কর, উল্লসিত হও! তোমরা যাঁরা কখনই প্রসব যন্ত্রণা ভোগ কর নি; তোমরা উল্লাস কর, কারণ স্বামীর সহিত বসবাসকারী স্ত্রীর চাইতে নিঃসঙ্গ স্ত্রীর অনেক বেশী সন্তান হবে।’যিশাইয় ৫৪:১
২৮ আমার ভাই ও বোনেরা, তোমরাও সেই ইসহাকের মতো প্রতিশ্রুতির সন্তান। কিন্তু ঠিক এখনকার মতোই তখনও য়ে পুত্র স্বাভাবিকভাবে জন্মেছিল, সে অন্য পুত্রকে অর্থাত্ পবিত্র আত্মার শক্তিতে যার জন্ম হয়েছিল তাকে নির্য়াতন করত।
২৯
৩০ কিন্তু শাস্ত্র কি বলে? ‘দাসী স্ত্রী ও তার পুত্রকে তাড়িয়ে দাও!কারণ দাসীর পুত্র স্বাধীন স্ত্রীর পুত্রের সাথে কিছুরই উত্তরাধিকারী হবে না।’
৩১ তাই বলি আমার ভাই ও বোনেরা, আমরা সেই দাসীর সন্তান নই, আমরা স্বাধীন স্ত্রীর সন্তান।