খুঁজছি সেই যুবাকে, যে এক প্রসন্ন বিকেলে
আমাকে দেখিয়েছিল হারিয়ে-যাওয়া আমার
সদ্য-কৈশোরের ঈষৎ ঝলক। একা একা
হাঁটছিলাম, বয়সের ভারে ক্লান্ত, কিন্তু কী এক প্রত্যাশার
তাড়নায় ঘুরে বেড়াচ্ছি দৃষ্টিকে জাগ্রত রেখে।
কিছুক্ষণের জন্যে পাওয়া সেই যুবককে
পুনর্বার হারিয়ে ফেলার ব্যর্থতা
বয়ে বেড়ানো আমার সাধ্যাতীত। নিষ্প্রাণ হয়ে যাব।
যখন দেখেছি কোনও ঝকঝক তরুণকে, তাকে
এভাবে পরখ করছি যে, সে আমাকে কোনও
তালেবর গোয়েন্দা ঠাউরে নিতে পারত! লজ্জিত আমি
দ্রুত পালিয়ে মান বাঁচাই।
আমি যে তরুণের খোঁজে আজ এমন দিশেহারা,
সে তার অজান্তে আমার স্মৃতিকে
মোহন চঞ্চল করে তুলেছে, এমন এক সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছে,
যা আমার হৃদয়ে অতি-পুরাতন রৌদ্র-জ্যোৎস্নাকে
নব্য রূপায়ণে ঢেলে সাজিয়েছে। ওর
তরুণ কণ্ঠস্বরে ছিল যমজ সৌন্দর্যের রূপকথা!
সে আমাকে গুনিয়েছিল গাছপালাময়
দীর্ঘ এক গলির কথা, অপরূপ প্রশন্ত এক
দাওয়ার কথা, দুই যমজ সুন্দরী বালিকার কণ্ঠস্বরে
আরবী শব্দাবলীর সুর, ওস্তাদজীর গম্ভীর আবৃত্তি
আর একজন কৌতূহলী বালকের মুগ্ধ, সতেজ দৃষ্টি। নিষ্পাপ
নৈকট্যের যমজ আভা আজও এক প্রায়-বৃদ্ধকে
কোনো ধ্রুপদী সঙ্গীতের সুরের মতো
আলিঙ্গন করে। সেই প্রায়-বুড়ো লোকটা
উদ্ভ্রান্তের মতো খুঁজে বেড়াচ্ছে সত্য ঘটনাবলীর
বর্ণনাকারী তরুণকে, যে কোথায় হারিয়ে গেল, কে জানে!