খিদে
কী বিষম দুঃখ এসেছিল আজ ভোরবেলায়, কাঠবাদাম, চকলেট, স্ট্রবেরি
অথবা এগফিলিপ!—তার বদলে পোড়া সিগারেট
বিনা অনুপানে খেয়ে শেষ করলুম, হেমন্ত শিশির
ভুরুতে ও ওষ্ঠে মাখা কত ভালো, কত ভালো তার চেয়েও
প্রাইভেট কবিত্ব!
ফুলের বিছানা পেতে রেখেছিলে, আমি যাবো দু’তিনদিন পরে
হায় রে বাতাস থেকে কোন হাঁস ছেচে নেবে ফুলের দুৰ্গন্ধ? আমি কাল
মাটিতে লুকোনো বৃষ্টি শুকে শুকে ছ’জন লোকের
দরজায় গিয়েছিলাম, কেউ জানে না কোন ঘরে ফুলের বিছানা,
কোন দরজার ফুটো চমৎকার খাপ খাবে আমার বসন্তে।
আঁতুড়ে ঘরের পাশে মধু নেই–ত্রিভঙ্গ বুড়ির হাহাকার
আটাশ বছর পার হয়ে এলো, বেলা হলে আটাশ বয়েসী
এই ছ’জন ষণ্ডামার্কা–চোখ বেঁকানো দুপুরের রোদে–
বড় হুলস্থূল করে,–ভোর থেকে না খেয়ে আছি, কিংবা বলা যায়
আজীবন!
তবু বারান্দার থেকে হাতছান!—এলোচুলে ভ্ৰমরাক্ষি,–ওহে
সাত লাইন কবিত্ব চাও? নাকি খাওয়াদাওয়া নিয়ে নোনতা আলোচনা
চলতে পারে? ঠোঁট খেতে কেমন লাগে কিংবা বুক, তবে সাফ
কথা আমি কিন্তু নিজের শরীর থেকে কিছুই ঝরাতে চাই না এই দুঃসময়ে।
ছ’জন লোকের মুখ দেখে দেখে পচে গেল চোখ, গেল ফুল
নাক পরিষ্কার করে এক-একবার দুনিয়া কাঁপানো
শ্বাস নিতে ইচ্ছে হয়, ডাক্তারের বরাভয় পেলে সন্দীপন
গরম দুধের সঙ্গে গল্প লিখবে, আমি কার কাছে যাবো, গিয়ে বলবো,
মশায়, চোখের
চামড়াখানা বাদ দিয়ে, বুকের পাঁজর ছেচে, রক্ত ধুয়ে, দাঁতগুলো তুলে
আমাকে নতুন একটা লোকের মতন করে দিন না, বেঁচে যাই এ-যাত্রায়।