ক্যাপ্টেন বয়েড ও মেজর ক্যাম্পবেল
১৮০৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একটি বিভাগে ক্যাপ্টেন বয়েড ও মেজর ক্যাম্পবেল নামক দুই সেনাধ্যক্ষের মধ্যে হঠাৎ বাদানুবাদ শুরু হল সেনানিবাসের মধ্যে। মেজর ক্যাম্পবেল অধীন সৈন্যদের উপর যে আদেশ জারি করেছিলেন, সেই আদেশ ক্যাপ্টেন বয়েডের পছন্দ হয়নি এবং তার ফলে উত্তপ্ত বিতর্কের অবতারণা। বয়েডের মতে মেজর সাহেবের পক্ষে ওই আদেশ জারি অনুচিত কার্য। মেজরের বক্তব্য, উচিত কাজই করেছেন তিনি। দুজনেই নিজস্ব ধারণায় অটল। তীব্রস্বরে বাদানুবাদ চলল কিছুক্ষণ, তারপর দেখা গেল ক্রুদ্ধ পদক্ষেপে স্থানত্যাগ করছেন ক্যাম্পবেল এবং তাকে অনুসরণ করছেন বয়েড। পরবর্তী ঘটনার সঠিক বিবরণ কেউ সংগ্রহ করতে পারেনি; তবে এটুকু জানা যায় যে, দুজনের মধ্যে পিস্তল নিয়ে দ্বন্দ্বযুদ্ধ ঘটেছিল।
একটা ঘরের মধ্যে দরজা বন্ধ করে ডুয়েল হয়েছিল, অকুস্থলে কোনো মধ্যস্থ উপস্থিত ছিলেন না। আগ্নেয়াস্ত্রের শব্দ শুনে অকুস্থলে ছুটে এলেন কয়েকজন অফিসার। তাদের সামনে অতিশয় উদবিগ্ন স্বরে ক্যাম্পবেল তার মরণাহত প্রতিদ্বন্দ্বীকে উদ্দেশ করে বললেন, বয়েড, সাক্ষীদের সামনে স্বীকার করো যে লড়াইটা ন্যায়সঙ্গতভাবেই হয়েছিল।
স্খলিতস্বরে বয়ে যা বললেন, সেই বক্তব্য হল ক্যাম্পবেলের পক্ষে মারাত্মক।না, লড়াই ন্যায়সংগত হয়েছিল এ-কথা বলা যায় না। তুমি আমাকে প্রস্তুত হওয়ার সময় দাওনি। তুমি খুব খারাপ লোক, ক্যাম্পবেল। ওইকথা বলার পরেই বয়েডের মৃত্যু হয়।
ক্যাম্পবেলের বিচার হল। বয়েডের মৃত্যুকালীন উক্তি ক্যাম্পবেলকে ঠেলে দিল মৃত্যুর মুখে। বিচারে ফাঁসির মঞ্চে প্রাণ দিলেন মেজর ক্যাম্পবেল।