কৌতুক

কৌতুক

মেঘের সুপরামর্শে নাবাল জমিতে রোয়া হলো ইরি ধান
তারপর মেঘ উড়ে চলে গেল সুদূর পশ্চিমে
এ যে কৌতুক, যেন অনন্ত আকাশে এক কণা পরিহাস
সবাই বুঝেছে, শুধু একজন বোঝেনি, সে
শিরীষ গাছের কোলে গালে হাত দিয়ে
বসে আছে—
ক্ষয়াটে পাতলা মুখ, পুরোনো শিশির কাচ-রঙা দুই চোখ
চিবুকে জলপাইরঙা দাড়ি আর হাতে পোড়া বিড়ি
উরুর লুঙ্গিতে দ্রুত হেঁটে আসে প্রতিশোধকামী এক
ক্ষিপ্ত কাঠ-পিঁপড়ে
সেদিকে নজর নেই ওর
অসুস্থ শস্যের দিকে চেয়ে আছে, অথচ সে সসব দেখে না
ঘাসের জটলায় যেন লেখা আছে পাম্পসেট ভাড়া
মাটির গহূরে থাকে পটাস, ফসফেট, ফের
মাটি তাই খায়
সকলেই খেতে চায়, যেদিকে তাকাও শুধু পাখির ছানার মতো
উৎকণ্ঠিত হাঁ
পিচ্‌ করে থুতু ফেলে হঠাৎ লোকটা কেন লাফিয়ে,
ঘোরতর যুদ্ধে মেতে ওঠে
বাতাস উদ্দাম হয়ে দেখে সেই দৃশ্য
দূরের দূরবীনে দেখে ঠিক মনে হবে
ওটা কোনো যুদ্ধ নয়, নাচ
মাঠের সৌন্দর্যে এক নৃত্যরত কালের রাখাল।