এমন নিঃশব্দে কে দাঁড়ায় দরজায়
ভোরবেলা স্মিত দশটায়
গজলের মদির আঙ্গিকে? বলপেন
খাতার পাতায় সমর্পিত; বলি, ‘এখুনি এলেন?’
নিরুত্তর; বুঝতে হয় না কষ্ট, খাতা থেকে উঠে
এখানে ব্যাকের পাশে রয়েছে সে স্বতঃষ্ফুর্ত ফুটে।
এই জ্ঞান হৃদয়ে ঝরায় অশ্রুকণা, এরকম
পুনর্জন্ম ক্ষণিকের, তুব কল্পনার সেবাশ্রম
আঁকড়ে থাকতে চাই। তার এই আসা-যাওয়া থাকবে অটুট,
যতদিন মুঠোয় আমার লগ্ন চাদরের খুঁটি
হায়াতের; ধু ধু ফাঁকা পথ,
গাছের নোয়ানো ডালে দোয়েল, নৈরাশ্য যযুগপৎ।
মনোনীতা অস্তরালে, ডেকেই চলেছি এতকাল,
ডেকে-ডেকে আমার দু’চোখে আজ শিমুলের লাল।
১১।৪।৯০