কৈলাস চৌধুরীর পাথর – ৫ (শেষ)

কেদারবাবুকে গ্রেপ্তার করতে কোন বেগ পেতে হয় নি, আর অবনীশবাবুও তাঁর পঞ্চাশ টাকার টিকিটটা ফেরত পেয়েছিলেন। ফেলুদা যা টাকা পেল, তাই দিয়ে আমাদের তিনদিন রেস্টুর‍্যান্টে খাওয়া আর দুটো সিনেমা দেখার পরও ওর পকেটে বেশ কিছু বাকি রইল।

আজ বিকেলে বাড়িতে বসে চা খেতে খেতে ফেলুদাকে বললাম, ‘ফেলুদা, একটা জিনিস আমি ভেবে বার করেছি, সেটা ঠিক কিনা বলবে?’

‘কী ভেবেছিস শুনি।’

‘আমার মনে হয় কৈলাসবাবুর বাবা বুঝতে পেরেছিলেন যে কেদারবাবু কৈলাসবাবু সেজে বসে আছেন, আর সেই জন্যেই সেদিন ওর দিকে কটমট করে চাইছিলেন। বাবারা নিশ্চয়ই নিজেদের যমজ ছেলেদের মধ্যে তফাত ধরতে পারে—তাই না?’

‘এক্ষেত্রে তা যদি নাও হয়, তাহলেও, তোর ভাবনাটা আমার ভাবনার সঙ্গে মিলে গেছে বলে আমি তোকে সম্মানিত করছি’—এই বলে ফেলুদা আমার প্লেট থেকে একটা জিলিপি তুলে নিয়ে মুখে পুরে দিল।