কেমন করে তুমি হঠাৎ তুমি আমার মধ্যে করলে বসত,
সে বিষয়ে প্রশ্ন আছে,
এখনো তো প্রশ্ন আছে।
যখন তুমি তোমার চোখে ঋতুরাজের প্রসাদ নিয়ে
দাঁড়িয়েছিলো একদা এক সান্দ্র মধুর বেলাশেষে,
আমার আপন আট কুঠুরি
সকালবেলার মতো হেসে
সম্ভাষণের কিরণ-ঢেউয়ে প্রবল তোমায় দুলিয়ে দিলো।
তোমার আমার মধ্যে কখন ভ্রূকুটিহীন একটি দৃষ্টি
জন্ম নিলো, হৃদ ভুবনে
উঠলো দুলে
ফুলের ডালি পাখির গানের সম্মোহনে,
কেউ জানে না, কেউ জানে না।
তোমায় দেখে স্বপ্ন আমার চোখ খুলেছে,
মুখ তুলেছে আশার শ্যামা।
কেমন করে হঠাৎ তুমি আমার দিলে
অন্তরঙ্গ তোমার দিনের
তোমার রাতের স্বত্বাধিকার?
যখন তুমি ছড়াও হাসি ঠোঁট-জমিনে
দুঃখটাকে আড়াল করো চুলের আড়ে,
আমার মনের ঝুল অথবা
এই শরীরের ভাঁজে ভাঁজে
জমে থাকা কালের ধুলো কিংবা বালি
যায় তো ঝরে অগোচরে,
যায় তো ঝরে।
কিন্তু যখন তোমার চোখের দু’তীর ব্যেপে
হঠাৎ আবার মেঘ জমে যায়, জলজ কাঁটা
ধরায় জ্বালা চোখের কোণে,
আমার বুকের ভেতর বহু গাছগাছালি
এক নিমেষে ধুলোয় গড়ায়,
পক্ষী কত শরীরজোড়া জখম নিয়ে কেঁদে বেড়ায়।
কান্না তোমার ক্ষয় করে দেয় আমার আয়ু,
ভীষণভাবে ক্ষয় করে দেয়।