কেঁদুলির যাত্রী
সেই অন্ধকার পথ ভেঙে যাওয়া, অজস্র জোনাকি, বুকের
উষ্ণতা কাড়ে হাওয়া, তবু শ্ৰবণ উৎকর্ণ, আরো দূরে, অথচ
তেমন দূরে নয়, আঁধার নিমার্ণ থেকে উঠে আসে অঙ্গহীন
রথ, অদেখা নদীর কাছে খেলা করে স্বর্গের সৌরভ…
পায়ে পায়ে যাওয়া, শুধু যাওয়া, খুব বেশি দূরে নয়, অথচ
পথের শেষ বাঁকে, ভাষাহীন বন্ধুদল, চকিতে ঝিলিক দেয়
নিজস্ব আগুন, ক্রমশই গাঢ় হয়ে আসে শীত, র্যাপার লুটিয়ে
পড়ে গৈরিক ধুলোয়, অকস্মাৎ জেগে ওঠে পাখির কান্নার মতো
গান…
এখানে ওখানে আলো, কালো ছায়া, অসংখ্য অদৃশ্য হাত
হাতছানি দিয়ে ওঠে, এবার বাতাস কেটে ছুটোছুটি, দোকানে
বিনিদ্র মাছি এবং চিনির গন্ধ পাশে রেখে চলে যাই, ভিজে
ঘাসে ধুপ করে বসে পড়ি, বালক বাউল রাখে আকাশের
দিকে চোখ, সুর যায় দিগন্ত পেরিয়ে।