কৃতঘ্ন শব্দের রাশি
চিঠি না-লেখার মতো দুঃখ আজ শিরশির করে ওঠে
আঙুলে বা চোখের পাতায়
নিউ মার্কেটের পাশে হঠাৎ দুপুরবেলা নীরার পদবী ভুলে যাই—
এবং নীরার মুখ।
জলে-ডোবা মানুষের বাতাসের জন্য হাঁকুপাকু–সেই অস্থিরতা
নীরার মুখের ছবি–সোনালি চশমার ফ্রেম, নাকি কালো!
স্তম্ভের ঘড়িকে আমি প্রশ্ন করি, সোনালি? না কালো?
ধনুক কপালে বাঁক টিপ, ঢাল চুলে বাতাসের খুনসুটি
তবুও নীরার মুখ অস্পষ্ট কুয়াশাময়
জালে ঘেরা বকুল গাছকে আমি ডেকে বলি
বলো, বলো, তুমিও তো দেখেছিলে?
নীরার চশমার ফ্রেম সোনালি না কালো?
সিঁড়ির ধাপের মতো বিস্মরণ বহুদূর নেমে যায়
ভুলে যাইনীরার নাভির গন্ধ
চোখের কৌতুকময় বিষণ্ণতা
নীরার চিবুকে কোনো তিল ছিল?
এলাচের গন্ধমাখা হাসি যেন বাতাসের মধ্যে উপহাস
বিস্মৃতির মধ্যে শুনি অধঃপতনের গাঢ় শব্দ
নিউ মার্কেটের পাশে হঠাৎ দুপুরবেলা
সব কিছু ভুলতে ভুলতে আমার অস্তিত্ব
শূন্য কিন্তু মগ্ন হয়ে ওঠে—
ছিঁড়ে যায় নীল পদাৰ্প, ভেঙে পড়ে অসংখ্য দেয়াল
হিজল বনের ছায়া চকিতে মেঘের পাশে খেলা করে
তীব্রভাবে বেজে ওঠে কৃতায় শব্দের রাশি, সেই মুহুর্তেই
চোয়াল কঠিন করে হাত তুলি, বঞ্জ মুঠি, ঝলসে ওঠে।
রক্তমাখা ছুরি।