কীভাবে ছিলাম বেঁচে তোমাকে ছাড়াই পরবাসে
এতদিন? বিপন্নতা, বিভীষিকা আমার আকাশে
ছিল ব্যেপে, তোমার অনুপস্থিতি বসাতো সুতীক্ষ্ণ দাঁত আর
আমার ভেতরে স্তরে স্তরে বেদনার
দাগ লেগে থাকতো, যেমন ফসিলের গায়ে মাটি
এবং পড়তো মনে দুজনের পথে পথে ঘুরে বেড়ানোর খুঁটিনাটি।
পথ চলি মৃত্যুর অধিক অন্ধকারে সম্বলবিহীন একা;
যখন তোমার সঙ্গে দেখা
হয় না, তখন ভাবি, সূর্যোদয়, বসন্তবাহার, মিথ্যা সবই
এবং কেবলি মনে হয় আমি নির্বাসিত কবি
নিজ বাসভূমে, অন্তর্গত অভিমান
যদি পারতাম দ্রুত করতে চালান
উড়ে যাওয়া দোয়েলের গীতে,
পাতার মর্মর আর শ্রাবণের নদীর ধ্বনিতে।
যতই পুড়ি না কেন চিতার কাঠের মতো, তোমাকে প্রতিমা
বলে জানি; পাবো কি তোমার দেখা এই মর্ত্যসীমা
পেরিয়ে আবার?
ভাবি শুধু,-আমি কি প্রেমিক নাকি একনিষ্ঠ পূজারী তোমার
যায় প্রত্যাবর্তনের গানের বিভূতি অস্তিত্বের খাঁচা থেকে
নিভৃতে ছড়িয়ে পড়ে, তোমার হৃদয় দেয় ঢেকে।