কিছু সামাজিক কিছু বিদগ্ধ ভিড়ে
তোমাকে হঠাৎ দেখলাম, মনে হলো।
পরনে তোমায় ফিরোজা রঙের শাড়ি,
অমন মায়াবী চোখে কি স্বপ্ন ছিল?
সূর্য তখনো ছিল পশ্চিমে হেলে;
কারো হাতে প্লেট, কারো হাতে কোকাকোলা।
দ্রুত সরে যাওয়া তোমার দৃষ্টিপাত
হৃদয়ে আমার দিয়ে গেল কী যে দোলা।
স্নিগ্ধ সে লনে গুঞ্জনে ক্রমাগত
বেড়ে যায় আর কথার ফুলকি ওড়ে।
প্রৌঢ় সুবেশ কূটনীতিকের চোখে
ইতিহাস আর কত স্তনভার ঘোরে।
কেউ ঠোঁটে তার নাচায় নিপুণ ঢঙে
বিশ্বশান্তি, কেউ মানবাধিকার
বিষয়ে ব্যাকুল; কেউ বলে, ‘শুনেছেন,
ওয়ালেসা-জায়া নিলেন পুরস্কার’।
চীনে বয়ে যায় ঈষৎ নতুন হাওয়া,
জাপানকে আজ স্বর্ণমারীচ ডাকে।
কানায় কানায় ভরাট অস্ত্রাগার,
নানা প্রান্তরে হিটলারী-প্রেত হাঁকে!
ম্যানিলা ক্ষুব্ধ প্রমেথিউসের মতো,
দুঃস্বপ্নের চরে ঘোরে মার্কোস।
হায়, রেগানের যাত্রা নাস্তি আর
লেবাননে জ্বলে মেশিনগানের রোষ।
আমি নিশ্চুপ ঘুরি একা, বড় একা;
খুঁজি তোমাকেই, কিন্তু পণ্ডশ্রম।
কোথায় লুকালে? তুমি কি বাস্তবিকই
এসেছো এখানে? এ-ও কি দৃষ্টিভ্রম?
হয়তো দেখিনি তোমাকে মিশ্র ভিড়ে,
স্বরচিত এক মরীচিকা নিয়ে আছি।
পলকে পলকে পাল্টায় একই পট,
পিশাচীর চোখে চোখ রেখে আমি বাঁচি।