কাল রাতের বেলায়
‘কাল রাতের বেলা গান এল মোর মনে…’
তখন আপনি ছিলেন আমার সঙ্গে
সবগুলি গুনগুন সংগীতের স্রষ্টা
পূজা থেকে বিরহ, প্রকৃতি থেকে আরও দুঃখ ভরা গান
এ দুঃখ আমার নয়, যিনি লিখেছেন, তিনিও কি এত দুঃখী?
কিংবা প্রত্যেক কবির মতন তিনিও বৈপরীত্যের বরপুত্র? সব প্রশ্নের
উত্তর ঘুলিয়ে দেবার সম্রাট?
জীবন চরিতে তাঁকে সত্যিই খোঁজা যায় না
কাল রাতের বেলায় এত গান, সর্বাঙ্গ জড়ানো গান
সেই সব সুরের মীড় ছবির রঙের মতন গড়িয়ে যায়, আয়তনে মেশে
যেন মাতিস-এর আঁকা গান, ঝর্নায় অনেকক্ষণ ধারাস্নান
চোখ জড়িয়ে আসে
তারপর একঝলক স্বপ্ন দেখি আলখাল্লা পরিহিত তাঁকে
এ মূর্তি প্রভাত মুখুজ্যের গড়া নয়, বইয়ের র্যাকের পাশে ঠেস দিয়ে
থুতনিতে আঙুল, বড় ব্যাকুল ও কৌতূহলী, খুবই মহান ও সামান্য
আমার কোনো প্রশ্ন আসে না
কান্নায় আমার গলা বুজে যায়, আমি ফুঁপিয়ে উঠি
একটু পরেই দেখি ঘামে ভিজে গেছে বিছানার চাদর
বাইরে প্যাঁচার ডাক শিহরিত রাত, থমথমে পৃথিবী
কুয়াশার মতন ছড়িয়ে পড়ে আমার বিস্ময়
রবীন্দ্রনাথকে দেখে হঠাৎ আমার কান্না এলো কেন
আমারও কান্না জমে ছিল?
আঃ বেঁচে থাকা এত আনন্দের!