কানা শালিকের গান
চালতাতলায় ঝকড়া একটা ফুরুশ ফুলের গাছের কাছে
কানা শালিকটা সকাল থেকেই সেখানে লুকিয়ে আছে।
ডাক শুনে তার বোঝাই যায় না, মনের সুখে না কান্না
সে ডাক শুনে শংকা মাসি নদীর ধারেও যান না
নদীর নাম অজয় তার রাগ হয়েছে ভারি
এই বর্ষায় দুপার ভেঙে সে এক কেলেংকারি
আস্ত একটা পুরুষ, তবু সবাই বলে নদী
তাই তো গণেশ উল্টে গেল আত্মারামের গদীর।
আত্মারামের মামাতো ভাই মুরারইতে থাকে
রোজ সকালে সব পাখিদের পাখির ভাষায় ডাকে।
রামপুরহাট থেকে মদন এল চালতাতলায়
কানা শালিকটা তখনো ডাকছে প্রচণ্ড জোর গলায়
আত্মারামের মামাতো ভাই যে-ই না এসে ধরতে গেল গান
কী যে হল, চুপসে গলা, চক্ষু উল্টে অজ্ঞান।
কানা শালিকটা এবার ফুরুৎ ছুটল নদীর ধারে
ধর ধর ধর সবাই বলল, কেউ গেল না ওদিকে অন্ধকারে।
মামাতো ভাই চোখ রগড়ে উঠল একটু পরে
কী হল রে, কানা শালিকটা… সবাই মিলে শুধোয় সমস্বরে
সেদিন থেকে মামাতো ভাই ভুলেই গেল কথা বলার ভাষা
দিনরাত্তির গান গায়, মাথার চুলে শালিক পাখির বাসা!