ওল্ড স্টেটমেন্ট
নিউ স্টেটমেন্ট
1 of 2

করিন্থীয় ১-১২

১ আমার ভাই ও বোনেরা, আমি চাই য়ে তোমরা সঠিকভাবে এগুলি বুঝে নাও।
২ তোমরা জান, যখন তোমরা অবিশ্বাসী ছিলে, তখন তোমরা বোবা প্রতিমাগুলির দিকেই পরিচালিত হতে।
৩ তাই আমি তোমাদের বলছি য়ে, ঈশ্বরের আত্মার প্রেরণায় কেউ কথা বললে সে কখনও, ‘যীশু অভিশপ্ত’ একথা বলতে পারে না। আবার পবিত্র আত্মার প্রেরণা ছাড়া কেউ বলতে পারে না য়ে, ‘যীশুই প্রভু।’
৪ আবার নানা প্রকার আত্মিক বরদান আছে, কিন্তু সেই একমাত্র পবিত্র আত্মাই এইসব বরদান দিয়ে থাকেন।
৫ নানা প্রকার সেবার কাজও আছে, কিন্তু আমরা সকলে একই প্রভুর সেবা করি।
৬ কর্ম সাধনের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, কিন্তু সেই একই ঈশ্বর সব রকম কাজ সকল মানুষের মধ্যে করান।
৭ মঙ্গলের জন্য প্রত্যেকের কাছে আত্মার দান প্রকাশ করা হয়েছে।
৮ সেই আত্মার দ্বারা একজনকে প্রজ্ঞার বাণী বলার ক্ষমতা দেওয়া হয়, অন্যজনকে জ্ঞানের বাণী বলার ক্ষমতা দেওয়া হয়।
৯ আবার একজনকে সেই একই আত্মার দ্বারা বিশ্বাস দেওয়া হয়, অন্যজনকে রোগীদের সুস্থ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়।
১০ আবার কাউকে অলৌকিক কাজ করার পরাক্রম, ভাববানী বলার ক্ষমতা, বিভিন্ন আত্মাকে চিনে নেবার ক্ষমতা, বিভিন্ন ভাষায় কথা বলার ক্ষমতা বা সেই সব ভাষার তর্জমা করার ক্ষমতা দেওয়া হয়।
১১ কিন্তু এইসব কাজ সেই এক আত্মাই সম্পন্ন করেন এবং কাকে কি ক্ষমতা দেবেন তা তিনিই স্থির করেন।
১২ আমাদের প্রত্যেকের দেহ নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নিয়ে গঠিত। যদিও অনেক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তবু তারা মিলে হয় একটি দেহ; খ্রীষ্টও ঠিক সেই রকম।
১৩ আমাদের মধ্যে কেউ ইহুদী, কেউ অইহুদী, কেউ দাস, আবার কেউ স্বাধীন, কিন্তু আমরা সকলেই দেহেতে এক হওয়ার জন্য এক আত্মার দ্বারা বাপ্তাইজ হয়েছি। আর আমাদের সকলকেই পান করার জন্য একই আত্মা দেওয়া হয়েছে।
১৪ একজনের দেহের মধ্যে একের অধিক অঙ্গ আছে।
১৫ পা যদি বলে, ‘আমি তো হাত নই; তাই আমি দেহের অঙ্গ নই,’ তবে কি তা দেহের অঙ্গ হবে না?
১৬ কান যদি বলে, ‘আমি তো চোখ নই, তাই আমি দেহের অঙ্গ নই,’ তবে কি তা দেহের অঙ্গ হবে না?
১৭ সমস্ত দেহটাই যদি চোখ হত তবে কান কোথায় থাকত? আর সমস্ত দেহটাই যদি কান হত তবে নাক কোথায় থাকত?
১৮ কিন্তু ঈশ্বর য়েমনটি চেয়েছেন সেইভাবে দেহের সমস্ত অংশগুলিকে সাজিয়েছেন। তা না হয়ে সব অঙ্গগুলি যদি একরকম হত তবে দেহ বলে কি কিছু থাকত?
১৯
২০ কিন্তু এখন অঙ্গ অনেক বটে, কিন্তু দেহ এক।
২১ চোখ কখনও হাতকে বলতে পারে না য়ে, ‘তোমাকে আমার কোন দরকার নেই।’ আবার মাথাও পা দুটিকে বলতে পারে না য়ে, ‘তোমাদের আমার কোন প্রযোজন নেই।’
২২ বরং দেহের সেই অংশগুলি, যাদের দুর্বল মনে হয় তাদের প্রযোজন খুবই বেশী।
২৩ য়ে অঙ্গগুলির প্রতি আমরা যত্নবান নই, তাদের বেশী যত্ন নিতে হবে। আমাদের য়ে সব অঙ্গ প্রদর্শনের অয়োগ্য সেগুলিকেই বেশী করে শালীনতায় ভূষিত করা হয়।
২৪ আমাদের য়ে সব অঙ্গ সুশ্রী, সেগুলির জন্য বিশেষ ব্যবস্থার প্রযোজন হয় না। ঈশ্বর দেহকে এমনভাবে গঠন করেছেন য়েন য়ে অঙ্গের মর্য়াদা নেই সে অধিক মর্য়াদা পায়,
২৫ য়েন দেহের মধ্যে কোন বিভেদ সৃষ্টি না হয়, কিন্তু দেহের প্রতিটি অঙ্গই য়েন পরস্পরের জন্য সমানভাবে চিন্তা করে।
২৬ দেহের কোন একটি অঙ্গ যদি কষ্ট পায়, তবে তার সাথে সবাই কষ্ট করে আর একটি অঙ্গ যদি মর্য়াদা পায়, তাহলে তার সঙ্গে অপর সকল অঙ্গ ও খুশী হয়।
২৭ ঠিক সেই রকম, তোমরাও খ্রীষ্টের দেহ, আর এক এক জন এক একটি অঙ্গ।
২৮ ঈশ্বর মণ্ডলীতে প্রথমতঃ প্রেরিতদের, দ্বিতীয়তঃ ভাববাদীদের, তৃতীয়তঃ শিক্ষকদের রেখেছেন। এরপর নানা প্রকার অলৌকিক কাজ করার ক্ষমতা, রোগীদের আরোগ্য দান করার ক্ষমতা, উপকার করার ক্ষমতা, নেতৃত্ব দেবার ক্ষমতা ও বিভিন্ন ভাষায় কথা বলার ক্ষমতা দিয়েছেন।
২৯ সকলেই কি প্রেরিত? সকলেই কি ভাববাদী? সকলেই কি শিক্ষক? সকলেই কি অলৌকিক কাজ করার ক্ষমতা পেয়েছে?
৩০ সকলেই কি রোগীকে আরোগ্য দান করার ক্ষমতা পেয়েছে? না। সকলেই কি বিভিন্ন ভাষায় কথা বলার ক্ষমতা পেয়েছে? বা সকলেই কি বিভিন্ন ভাষায় তর্জমা করার ক্ষমতা পেয়েছে? না।
৩১ কিন্তু তোমরা আত্মার শ্রেষ্ঠ বরদানগুলি পাবার জন্য বাসনা কর।