এই গ্রহের যে-কোনো অঞ্চলের যে-কোনো
স্বেচ্ছাচারী শাসক যখন কারাবন্দী করে
একজন প্রকৃত কবিকে, যখন একজন কবি
আক্রান্ত হন মৌলবাদী ধর্মান্ধদের হাতে,
অথবা তাকে যে-কোনো উৎপীড়ন তাড়া করে, লাঞ্ছিত করে,
তখন কি লতাগুল্ম, গাছপালা, পশুপাখি, পাহাড়,
পথরেখা, নদীনালা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে? বিলাপধ্বনিতে
ভরে ওঠে ভূমন্ডল আর আকাশের পর আকাশ?
না, এমন কিছুই ঘটে না। যখন কোনো স্বৈরাচারী শাসক
একজন প্রকৃত কবিকে
অন্ধকার সেলে পোরে জন্তুর মতো,
কিংবা সন্ত্রাসী ধর্মান্ধরা কোনো কবির
জীবন দাবি করে, বোমা ফাটায় তার ঘরে, অথবা
দেশছাড়া করে উচ্ছৃঙ্খল কোলাহলে, তখন লক্ষ্মী প্যাঁচার
ঘাড়ের লোমগুলো ফুলে ওঠে, রক্ত ঝরে কোকিলের স্বরে,
জলপাই গাছের পাতাগুলো
অঙ্গার ঝরায় এখানে-সেখানে,
আকাশের মেঘগুলো হয়ে যায় রাগী সিংহের কেশর,
ফোঁসে নদী, রুদ্ররোষে আদিম দেবতার মতো মাথা ঝাঁকায় অনড় পাহাড়।
নিউইয়র্ক, ৯ সেপ্টেম্বর ৯৫