কথা ছিল না
টিলার মতন উঁচু বাড়ির শিখরতলায়
আমার বসতি হবার কথা ছিল না
আমার কথা ছিল না সংবাদপত্র অফিসের ঠাণ্ডা ঘরে
চোখ গরম মানুষের ভিড়ে বসে থাকার
রাস্তায় চলতে চলতে কেউ আমার মুখের সামনে হঠাৎ
চট করে একটা আয়না তুলে ধরলে
আমি চমকে উঠি, ভয় পাই, এ কে?
এমন গাম্ভীর্য, এমন ভুরুর ভাঁজ, কথা ছিল না,
কথা ছিল না।
হে জীবন, হে নদীতীরে গাছের তলায় শুয়ে থাকা জীবন,
হে জীবন, হে মেষপালকের সঙ্গীর অলস বাঁশীর সুরের জীবন,
হে দিনযাপন, হে সন্ধ্যার শ্মশানতলায় বন্ধুদের সঙ্গে হুল্লোড়,
হে অভিমান, হে চোখাচোখির নীরবতা—
হে চিঠি না পাওয়ার দুঃখ, হে শেষ রাত্রির গান,
হে সুন্দর, হে প্রথম নীরাকে ছোঁয়ার হৃৎস্পন্দন,
হে অলস দুপুরের নিঃসঙ্গতা,
তোমরা আমায় ভুলে গেলে?
এ কোন্ কঠোর কপিশ জীবনে দিলে আমায় নির্বাসন!
হে ভূমধ্য সাগরের ভাসমান নাবিক, একটু থামো,
আমিও তোমার পাশে, একটু জায়গা দাও, তুলে নেব দাঁড়।