ওল্ড স্টেটমেন্ট
নিউ স্টেটমেন্ট
1 of 2

এফেসীয় ০৫

১ তোমরা ঈশ্বরের সন্তান, তিনি তোমাদেরভালবাসেন; তাই ঈশ্বরের মতো হও।
২ ভালবাসাপূর্ণ জীবনযাপন কর। খ্রীষ্ট আমাদের য়েমন ভালবেসেছেন তেমনি করে অপরকে ভালবাস। খ্রীষ্ট আমাদের জন্য নিজেকে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে সৌরভযুক্ত বলিরূপে উত্‌সর্গ করলেন।
৩ তোমাদের মধ্যে য়েন ব্যভিচার না থাকে। তোমাদের মধ্যে কোনরকম নৈতিক অশুদ্ধতা ও লোভ য়েন না থাকে। কারণ ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের মধ্যে এসব থাকা ঠিক নয়।
৪ লজ্জাজনক কোন কথাবার্তা তোমাদের মধ্যে য়েন না হয়। বোকার মতো কথা বলো না, নোংরা রসিকতা করো না, এইসব তোমাদের উপযুক্ত নয়। তোমাদের উচিত ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেওয়া।
৫ একথা তোমাদের নিশ্চিতরূপে জানা ভাল; যাঁরা য়ৌন পাপে লিপ্ত অথবা অপবিত্র জীবনযাপন করে অথবা লোভী, তারা খ্রীষ্টের ও ঈশ্বরের রাজ্যে কোন স্থান পাবে না, কারণ য়ে লোভী সে তো মূর্ত্তি পূজারী।
৬ দেখো, কেউ য়েন অসার কথাবার্তা বলে তোমাদের প্রতারিত না করে। যাঁরা অবাধ্য তাদের ওপর ঈশ্বরের ক্রোধ নেমে আসবে।
৭ তাই এইসব লোকদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখো না।
৮ আমি তোমাদের এসব কথা বলছি, কারণ এক সময় তোমরা অন্ধকারে জীবনযাপন করতে; কিন্তু এখন প্রভুর অনুসারী হয়ে তোমরা আলোয় এসেছ, তাই তোমরা এখন জ্যোতির সন্তানদের মতো জীবনযাপন করো।
৯ সবরকমের মঙ্গলভাব, নীতিপরায়ণতা ও সততা জ্যোতির দ্বারা উত্‌পন্ন হয়।
১০ প্রভু কিসে সন্তুষ্ট হন তোমাদের তা শেখা উচিত।
১১ যাঁরা অন্ধকারে চলে তাদের মন্দ কাজের অংশীদার হযো না। ঐসব কাজে কোন সুফল পাওয়া যায় না। সত্ কাজে লিপ্ত থাকো; অন্ধকারে যা করা হয় তা য়ে মন্দ তা দেখিয়ে দাও।
১২ লোকরা অন্ধকারে গোপনে য়েসব কাজ করে তা উচ্চারণ করাও লজ্জার বিষয়।
১৩ ঐসব বিষয় য়ে কত মন্দ যখন তা আমরা দেখিয়ে দিই তখন সেই আলোই সব কিছু প্রকাশ করে।
১৪ যখন সব কিছু সহজেই দেখা যায় তখন সে সব আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে যায়। এই জন্যই বলা হয়েছে: ‘হে নিদ্রিত লোক, জাগো! আর মৃতদের মধ্যে থেকে ওঠ, তাতে খ্রীষ্ট তোমার ওপর আলো বর্ষণ করবেন।’
১৫ তাই তোমরা কিরকম জীবনযাপন করছ, সেদিকে বিশেষ সতর্ক দৃষ্টি রেখো। র্নির্বোধ লোকদের মত চলো না, কিন্তু জ্ঞানবানের মতো চল।
১৬ সময় বড় খারাপ, এইজন্য ভাল কিছু করার সুয়োগ পেলে তার সদ্বব্যবহার করো।
১৭ তাই নিজেদের জীবন নিয়ে অবোধের মতো চলো না। বুঝতে চেষ্টা কর য়ে প্রভু তোমাকে দিয়ে কি কাজ করাতে চান।
১৮ দ্রাক্ষারস পান করে মাতাল হযো না, তাতে আত্মিক জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে; তার পরিবর্তে পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হও।
১৯ গীতসংহিতার স্তোত্র ও আত্মিক সংকীর্তনে তোমরা একে অপরের সাথে আলাপ কর। গাও আর অন্তরে প্রভুর উদ্দেশ্যে সুরেলা সঙ্গীত রচনা কর।
২০ আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে সব সময় সব কিছুর জন্য আমাদের ঈশ্বর ও পিতাকে সর্বদা ধন্যবাদ দাও।
২১ স্বেচ্ছায় তোমরা একে অপরের কাছে নত থাক। খ্রীষ্টের প্রতি তোমাদের শ্রদ্ধার জন্যে তা কর।
২২ বিবাহিতা নারীরা, তোমরা য়েমন প্রভুর অনুগত তেমনি তোমাদের স্বামীদের অনুগত থাক।
২৩ কারণ স্বামী তার স্ত্রীর মস্তকস্বরূপ য়েমন খ্রীষ্ট তাঁর মণ্ডলীর মস্তক, তিনি তো তাঁর দেহেরও ত্রাণকর্তা।
২৪ তাই মণ্ডলী য়েমন খ্রীষ্টের অনুগত, তেমনি স্ত্রীরা, তোমরা সব বিষয়ে স্বামীর অনুগত থেকো।
২৫ স্বামীরা, তোমরাও তোমাদের স্ত্রীদের অনুরূপ ভালবাসো, য়েমন খ্রীষ্ট তাঁর মণ্ডলীকে ভালবেসেছেন ও তার জন্য নিজের প্রাণ উত্‌সর্গ করেছেন।
২৬ মণ্ডলীকে পবিত্র করার জন্য খ্রীষ্ট মৃত্যুভোগ করলেন। সুসমাচারের বাক্যরূপ জলে ধুয়ে তাকে পরিষ্কার করলেন, যাতে তিনি তা নিজেকে উপহার দিতে পারেন।
২৭ খ্রীষ্ট তাকে পরিষ্কার করলেন যাতে সে নিজেকে একজন জ্যোতির্মযী বধূ হিসাবে পবিত্র ও অনিন্দনীয়ভাবে উপহার দিতে পারে, যাতে তার কোন কলঙ্ক বা কুজন বা কোন অসম্পূর্ণতা না থাকে।
২৮ স্বামীরা য়েমন নিজেদের দেহকে ভালবাসে তেমনি তারা য়েন তাদের স্ত্রীকে ভালবাসে। য়ে কেউ তার স্ত্রীকে ভালবাসে, সে নিজেকেই ভালবাসে।
২৯ কারণ কেউ তার নিজের দেহকে ঘৃণা করে না, বরং নিজের দেহকে খাদ্য ইত্যাদি দিয়ে পুষ্ট করে তোলে এবং ভাল করে তার যত্ন নেয়। অনুরূপভাবে খ্রীষ্ট মণ্ডলীকে আহার দেন ও তার যত্ন করেন,
৩০ কারণ আমরা তাঁর দেহেরই অঙ্গ প্রত্যঙ্গ।
৩১ শাস্ত্রে য়েমন বলছে: ‘এইজন্য মানুষ তার বাবা-মাকে ছেড়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হবে ও তারা উভয়ে এক দেহ হবে।’
৩২ এই নিগূঢ় সত্য মহান; আর আমি বলি এটা খ্রীষ্ট ও তাঁর মণ্ডলীর উদ্দেশ্যে প্রয়োজ্য।
৩৩ যাইহোক, তোমরা প্রত্যেকে নিজেদেরস্ত্রীকে ভালবাসবে য়েমন তোমরা নিজেদের ভালবাস; আর স্ত্রীরও উচিত তার স্বামীকে শ্রদ্ধা করা।