পরাবাস্তবের হাট, হাজার হাজার
চিত্রকল্প, প্রতীকের ভিড়; গালগল্প, কেনাকাটা
চলে পুরোদমে; কার্ডরুমে বিশ্ব সুন্দরীর হাত,
চোখ, নাক, ভুরু, বুকটুক, ঊরু, পাছা এবং হাঁটার
ভঙ্গী নিয়ে বাছা বৃদ্ধিজীবীদের টাকরায় অকস্মাৎ
জ্বলে ওঠে মদির দেয়ালি, বুড়ো হাড়ে
ভেল্কি লাগে কারো কারো। ধূর্ত আততায়ী
থমকে দাঁড়ায় ক্ষণকাল, মজে বসন্ত বাহারে,
মাতাল গলির মোড়ে বমি করে, খই
ভাজি কল্পনার বন্ধ ঘরে, কবিতার অনাবাদী জমি করি
চাষ; খেটে মরি, কেউ কেউ বলে বটে
ভূতের বেগার খাটা। অবসরহীন এই অলীক চাকরি
নিয়ে দিন কাটে, রাত কাটে।
তুমিতো জানোই বাণিজ্যের গুপ্ত গুহায় অনেকে
আজ আলিবাবার সোদর;
তাল তাল সোনা নিয়ে কিস্তিমাৎ করা লোকে চোখ মুখ ঢেকে
মণিরত্নে কাটায় প্রহর।
ব্যাপক ধ্বংসের
এবং দাবার চালে দেবদূত হেরে যায় শয়তানের কাছে
বার বার, আগুন রঙের এক ডাগর ফড়িং
এর ওর মাথা ছুঁয়ে কিঞ্চিৎ প্রণামী
নিয়ে উড়ে চলে যায় দূরে; ভাবো তুমি ইদানীং
আমার পদ্যের চেয়ে পেয়াজ কি রসুন অনেক বেশি দামি?