এক জন্মের সমস্ত চলে যাওয়ার মধ্যে

এক জন্মের সমস্ত চলে যাওয়ার মধ্যে

হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললে, এসো
তারপর আমি মাঠে মাঠে ঘুরছি, রোদ্দুরে
ঝলসে যাচ্ছে কপাল

কিংবা বৃষ্টিতে শপশপে, ভয় দেখাচ্ছে পূর্বপুরুষের আর্তনাদের মতন
মেঘের এপার ওপার শব্দ

চটি ছিঁড়ে যাক, পায়ে কাঁটা ফুটুক
কিছু আসে যায় না, আমি শুধু শুনতে পাচ্ছি দুটি মাত্র অক্ষরের
পরম বাঙ্ময়তা, যেন মহাকাশের সংগীত
হাট করে খুলে যাচ্ছে দুনিয়ার সব দরজা
গভীর অরণ্য থেকে ভোরবেলার আলো বলছে, এসো
এই মাত্র জন্ম হল যে ঝর্নার, সে বলছে, এসো
মধ্যরাত্রির আকাশের শান্ত নীরবতা বলছে, এসো
শুধু প্রকৃতিতে নয়। শুধু হৃদয়ে নয়, শরীর বলছে, এসো
ওষ্ঠের অমৃত, স্তনবৃন্তের খেদ, যোনির লবণস্বাদ বলছে, এসো
তারও পরে, আরও গভীরে, যেখানে সময়ের সঙ্গে মিশে আছে
চিরকালের শূন্যতা, সেখান থেকেও
ডাক শুনতে পাচ্ছি, এসো
এক জন্মের সমস্ত চলে যাওয়ার মধ্যে ধ্বনিত হচ্ছে, এসো—