এক্সপেরিমেন্ট
মধ্যবয়স্ক প্রফেসর মহিলাটিকে বললেন, এই যে এটা হচ্ছে ডায়াল আর এটা হচ্ছে সুইচ। ডায়ালটা যত বেশি ঘোরাবেন ভোল্টেজ তত বেশি হবে। যখন সুইচ টিপে ধরবেন তখন ঐ মানুষটা ইলেকট্রিক শক খাবে।
নির্বোধ ধরনের মহিলাটি জিজ্ঞেস করল, ঐ মানুষটা কি আমাকে দেখতে পাবে?
না, আপনাকে দেখতে পাবে না।
ইলেকট্রিক শক দিলে কি মানুষটার কষ্ট হবে?
অবশ্যই কষ্ট হবে? প্রফেসর হা হা করে হেসে বললেন, ইলেকট্রিক শক খেলে মানুষের কষ্ট হয় জানেন না?
তা হলে ঐ মানুষটা শক খেতে রাজি হয়েছে কেন?
দুটি কারণে। প্রথম কারণ হচ্ছে এটা একটা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা। আমরা দেখতে চাচ্ছি একজন মানুষ সবচেয়ে বেশি কত ভোল্টেজের ইলেকট্রিক শক কতক্ষণ সহ্য করতে পারে। এই মানুষটা সেই এক্সপেরিমেন্টে বসে ইলেকট্রিক শক খেতে রাজি হয়েছে।
গাধা টাইপের মানুষ?
খানিকটা বলতে পারেন। তবে দ্বিতীয় একটা কারণ আছে–এই মানুষটা যে এক্সপেরিমেন্টে বসতে রাজি হয়েছে সে জন্যে আমরা তাকে কিছু টাকাপয়সা দিব।
কত টাকা?
প্রফেসর হাসার ভঙ্গি করে বললেন, সেটা নাই বা শুনলেন। আমরা টাকার পরিমাণটা গোপন রাখছি।
নির্বোধ ধরনের মহিলাটি বড় চোখ বড় বড় করে বলল, অনেক টাকা নিশ্চয়ই?
মোটামুটি।
তা হলে মনে হয় মানুষটা গাধা টাইপের না। একটু চালু টাইপের।
আপনি সেটাও বলতে পারেন।
মহিলাটি ডায়াল এবং সুইচটা পরীক্ষা করে বলল, আচ্ছা খুব বেশি ইলেকট্রিক শক খেয়ে মানুষটা কি মরে যেতে পারে?
প্রফেসর বললেন, না, মারা যাবার কোনো আশঙ্কা নেই-মানুষটা কষ্ট পাবে, ভোল্টেজ যদি বেশি হয় তা হলে অমানুষিক কষ্ট, কিন্তু মারা যাবে না।
যদি মরে যায়?
মরবে না। আপনার কোনো ভয় নেই-আপনি নিশ্চিত মনে এক্সপেরিমেন্ট চালিয়ে যান। তা ছাড়া মানুষটাকে দিয়ে বন্ড লিখিয়ে নিয়েছি। এই এক্সপেরিমেন্ট করার কারণে তার যদি শারীরিক কোনো ক্ষতি হয় তা হলে আমরা তার জন্যে দায়ী হব না।
মহিলাটির চেহারায় সন্তুষ্টির ছাপ পড়ল, বলল, সেটা বুদ্ধিমানের কাজ হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে কোর্টে কেস করতে পারবে না।
না পারবে না। মধ্যবয়স্ক প্রফেসর বললেন, তা হলে আমরা কাজ করি কী বলেন?
ঠিক আছে।
প্রফেসর বললেন, আপনার কাজ খুব সহজ। ডায়ালটা ঘোরাবেন আর সুইচ টিপে ধরবেন। ভেতরে রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা আছে সবকিছু রেকর্ড হয়ে যাবে। যখন এক্সপেরিমেন্ট শেষ হয়ে যাবে আমাদের ডাক দেবেন।
ঠিক আছে।
মহিলাটি ছোট জানালা দিয়ে ভেতরে উঁকি দিল, মানুষটা একটা চেয়ারে বসে আছে, চোখেমুখে একটু বেপরোয়া ভাব, তবুও বোঝা যাচ্ছে একটু একটু ভয় পাচ্ছে। দুটো হাত চেয়ারের হাতলের সাথে আর পা চেয়ারের পায়ের সাথে বেল্ট দিয়ে বাঁধা, মানুষটা যেন হঠাৎ করে উঠে চলে যেতে না পারে সেজন্য এই ব্যবস্থা। মানুষটার দুই হাতে দুইটা ধাতব স্ক্র্যাপ লাগানো সেখান থেকে ইলেকট্রিক তার বের হয়ে এসেছে, এই দুটি ইলেকট্রিক তার দিয়ে মানুষটাকে শক দেয়া হবে। গোলাপি রঙের একটা টি শার্ট আর জিনসের প্যান্ট পরে। আছে, মাথার চুল এলোমেলো, গায়ের রঙ বেশ ফর্সা। মুখে দু তিন দিনের না কামানো দাড়ি।
মহিলাটি ডায়ালটা সাবধানে একটু ঘুরিয়ে সুইচটা টিপে ধরল, সাথে সাথে চেয়ারে বেঁধে রাখা মানুষটা একটু কেঁপে উঠে এদিক-সেদিক তাকাল। ছোট একটা ইলেকট্রিক শক খেয়েছে মনে হয়। মহিলাটি ডায়ালটা আরেকটু ঘুরিয়ে আবার সুইচটা টিপে ধরতেই মানুষটা কেঁপে উঠে একটা ছোট শব্দ করল। হঠাৎ করে এই মানুষটার চেহারায় একটা ভয়ের ছাপ পড়ে। সে এদিকে সেদিকে ভয়ে ভয়ে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করতে শুরু করেছে।
মহিলাটি ডায়ালটা আরেকটু ঘুরিয়ে আবার সুইচ টিপে ধরতেই মানুষটা প্রথমবার একটু চিৎকার করে উঠল। তার মুখে এই প্রথমবার শুধু ভয় নয় আতঙ্কের ছাপ পড়েছে। মহিলাটি আবার ডায়াল একটুখানি ঘুরিয়ে সুইচটা টিপে ধরতেই মানুষটা হঠাৎ বিচিত্র ভঙ্গিতে কেঁপে ওঠে, তার মুখটা বিকৃত হয়ে যায়, এবং তার ভেতরে সে গোঙানোর মতন শব্দ করে ওঠে। মহিলাটা জিব দিয়ে তার ঠোঁট ভিজিয়ে নেয়, মনে হচ্ছে এখন সত্যিকার অর্থে ইলেকট্রিক শক দেয়া শুরু হয়েছে-সে ডায়ালটার দিকে তাকাল এখনো অনেক দূর যাওয়া বাকি। মাত্র শুরু হয়েছে-যখন আরো বেশি শক দেয়া হবে মানুষটা কী করবে কে জানে।
মহিলাটি ডায়ালটা বেশ খানিকটা ঘুরিয়ে সুইচটা টিপে ধরতেই মানুষটা চেয়ার থেকে লাফিয়ে বের হয়ে আসার চেষ্টা করে, থরথর করে সারা শরীর কাঁপতে থাকে সাথে সাথে সে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করতে থাকে-যন্ত্রণার অমানুষিক একটা চিৎকার। সুইচটা যতক্ষণ টিপে রাখার কথা মহিলাটি তার থেকে কয়েক মুহূর্ত বেশি সময় টিপে ধরে রাখল। মানুষটাকে যন্ত্রণা দেয়ার মাঝে অত্যন্ত বিচিত্র একটা আনন্দ রয়েছে যেটা সে আগে কখনোই অনুভব করে নি। চেয়ারে বেঁধে রাখা মানুষটা এবারে সত্যি সত্যি ভয় পেয়েছে, তার সারা মুখ ফ্যাকাসে এবং রক্তশূন্য, মুখ হাঁ করে রেখেছে এবং চোখগুলোতে অবর্ণনীয় আতঙ্ক।
মহিলাটি জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে ডায়ালটা আরো বেশ খানিকটা ঘুরিয়ে কাঁপা হাতে সুইচটা টিপে ধরে সাথে সাথে চেয়ারে বেঁধে রাখা মানুষটা অমানুষিক যন্ত্রণায় গলা ফাটিয়ে চিৎকার করতে থাকে। তার সারা শরীর এক ধরনের ভয়াবহ খিচুনিতে থরথর করে কাঁপছে। মনে হয় চোখ দুটো কোটর থেকে ঠেলে বের হয়ে আসছে। মানুষটা মুখ হাঁ করে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নেবার চেষ্টা করছে কিন্তু মনে হচ্ছে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছে না।
যন্ত্রণাকাতর মানুষটিকে দেখে মহিলাটির মুখের মাংসপেশি শক্ত হয়ে আসে। সে সুইচটা টিপে ধরে রেখে অবর্ণনীয় যন্ত্রণায় কেঁপে কেঁপে ওঠা মানুষটার দিকে তাকিয়ে থাকে, নিজের অজান্তেই সে একটু পরে পরে মুখে লোল টেনে নিতে থাকে।
.
মনিটরে মহিলাটির কঠিন মুখটির দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে প্রফেসর নিচু গলায় তার সহকর্মীকে বললেন, কেমন দেখছ?
অবিশ্বাস্য। একজন মানুষ যে অকারণে আরেকজন মানুষকে এভাবে কষ্ট দিতে পারে সেটা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। সহকর্মী মাথা নেড়ে বলল, আমার রীতিমতো শরীর খারাপ লাগছে।
প্রফেসর সহকর্মীর দিকে তাকিয়ে বললেন, কেন তোমার শরীর খারাপ লাগছে? তুমি তো জানো এখানে কোনো ইলেকট্রিক শক দেয়া হচ্ছে না–পুরোটাই মানুষটার অভিনয়।
জানি। আমি খুব ভালো করে জানি। সবকিছু তো আমিই তৈরি করেছি-যন্ত্রপাতি পুরোটাই বোগাস আমি সেটা জানি। কিন্তু মানুষটার অভিনয় এত রিয়েলিস্টিক মনে হচ্ছে আসলেই বুঝি ইলেকট্রিক শক খাচ্ছে!
প্রফেসর দুলে দুলে হাসতে হাসতে বললেন, উনিশ শ একষট্টি সালে স্ট্যানলি মিলগ্রাম প্রথম এই এক্সপেরিমেন্টটা করেছিলেন। সারা পৃথিবীতে তখন হইচই পড়ে গিয়েছিল।
পড়ারই কথা। নির্বোধ মহিলাটা ভাবছে সে এক্সপেরিমেন্ট করছে! আসলে তাকে নিয়েই যে এক্সপেরিমেন্ট হচ্ছে সে জানতেও পারছে না।
প্রফেসর বললেন, সেটাই হচ্ছে সবচেয়ে মজার ব্যাপার।
সহকর্মী নিঃশ্বাস ফেলে বলল, কিন্তু কী লাভ এই রকম এক্সপেরিমেন্ট করে? আমরা তো এক্সপেরিমেন্ট ছাড়াই জানি মানুষ কত নিষ্ঠুর হতে পারে!
প্রফেসর মাথা নেড়ে বললেন, জানি না। ভাসা ভাসা জানি ঠিক করে জানি না। এক্সপেরিমেন্ট করার জন্যে এতগুলো টাকা পেয়েছি কেন এক্সপেরিমেন্ট করব না?
সহকর্মী সোজা হয়ে বসে বলল, হ্যাঁ, অনেকগুলো টাকা দিয়েছে এই প্রজেক্টে, সেরকম খরচ তো নেই!
খরচ নেই তো কী হয়েছে? খরচ করে ফেলব! আমাদের এই অভিনেতাকে টাকা দিয়ে খুশি করে দেব। এরকম প্রফেশনাল অভিনেতা না হলে এই এক্সপেরিমেন্টটা এত ভালো করে করতে পারতাম? কিছু যন্ত্রপাতি কিনব। দেশে বিদেশে কনফারেন্সে যাব-টাকা খরচ করা কোনো সমস্যা নাকি?
সহকর্মী প্রফেসরের দিকে তাকিয়ে বলল, কিন্তু একটা প্রাইভেট কোম্পানি আপনাকে গবেষণা করার জন্যে এত টাকা কেন দিল?
প্রফেসর মাথা নেড়ে বললেন, জানি না। মনে হয় গাধা টাইপের কোম্পানি! ম্যানেজিং ডিরেক্টর মানুষটাও মনে হয় গাধা টাইপের–
কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ঠিক সেই মুহূর্তে প্রফেসরের ঘরে গোপনে বসিয়ে রাখা ক্যামেরাতে প্রফেসরকে লক্ষ করছিলেন। পাশে বসে থাকা সেক্রেটারি বলল, স্যার, শুনলেন? বলছে আমাদের কোম্পানিটা নাকি গাধা টাইপের আর আপনিও নাকি গাধা টাইপের মানুষ।
শুনেছি।
চার পয়সার প্রফেসরের কত বড় সাহস! যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা।
ম্যানেজিং ডিরেক্টর তার সেক্রেটারির দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি রেগে উঠছ কেন?
রাগব না? এরকম কথা শুনলে রাগ হয় না?
দেখ-আমরা গোপনে তার কথা শুনছি। পুরো কাজটা বেআইনি। এরকম বেআইনি কাজ করলে কিছু বেফাঁস কথা শুনতে হয়। তা ছাড়া প্রফেসর তো মিথ্যে বলে নি। এরকম হাস্যকর একটা এক্সপেরিমেন্টের জন্যে আমরা এত টাকা ঢালছি-তার কাছে মনে হতেই পারে আমরা বোকা। গাধা টাইপের।
কিন্তু কী জন্যে ঢালছি সেটা তো জানে না।
না। জানার কথা না। সে কেমন করে জানবে ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার এটা একটা রাস্তা। কোম্পানির কোটি কোটি টাকা আমরা হালাল করে নেব এই চার পয়সার প্রফেসরকে স্বল্প কিছু টাকা দিয়ে। সরকারি মানুষদের বোকা বানানো খুবই সোজা। তবে গোয়েন্দা বাহিনীর নূতন ডিরেক্টর নাকি একটু ত্যাঁদড় টাইপের, শুধু তার থেকে একটু সতর্ক থাকতে হবে।
.
গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান একটা নিঃশ্বাস ফেলে ইলেকট্রনিক ডিভিশনের কম বয়সী অফিসারকে জিজ্ঞেস করল, পুরোটা রেকর্ড করেছ?
জি স্যার করেছি।
কত বড় সাহস! আমাকে বলে ত্যাঁদড় টাইপের। নূতন ইলেকট্রিক সারভেইলেন্সের যন্ত্রপাতির খবর তো রাখে না তাই এরকম আজেবাজে কথা বলে। যদি জানত আমি সব কোম্পানির সব ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে চোখে চোখে রাখছি-তা হলে এদের সবার পেটের ভাত চাল হয়ে যেত!
ইলেকট্রনিক ডিভিশনের অফিসার বলল, জি স্যার।
একদিক দিয়ে ভালোই হল।
কী ভালো হল স্যার?
এই যে তার পুরো কথাবার্তা রেকর্ড হয়ে থাকল। এই ম্যানেজিং ডিরেক্টর ব্যাটাকে কালকে ডেকে আনব! এইখানে বসিয়ে তাকে এই পুরো ডিডিওটা দেখিয়ে বলব-সোনার চাঁদ এখন বল কে ত্যাঁদড়? তুমি না আমি!
কিন্তু স্যার তা হলে তো জেনে যাবে আমরা সবাইকে সারভেইলেন্সে রেখেছি।
জানুক। না জানলে সে আমাকে টাকাপয়সা দেবে? সবাই আখের গুছিয়ে নিয়েছে। আর আমি এখনো কিছু করতে পারলাম না। এই তো সুযোগ—
ইলেকট্রনিক ডিভিশনের অফিসার বলল, কিন্তু স্যার, আমাদের প্রেসিডেন্ট বলেছেন এটা গোপন রাখতে। সারভেইলেন্সের কথা সবাই জেনে গেলে দেশে হইচই হতে পারে-
গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান টেবিলে থাবা দিয়ে বললেন, আরে! গুল্লি মারো প্রেসিডেন্টের। বুড়ো হাবড়া একটা প্রেসিডেন্ট–
.
প্রেসিডেন্ট দেয়ালে লাগানো মনিটরের দিকে তাকিয়ে টেবিলটা খামচে ধরে নিজের মনে বিড়বিড় করে বললেন, আমি বুড়ো হাবড়া? তুমি কত বড় গর্দভ যে আমার সম্পর্কে এরকম কথা বল? তুমি জান না-আমি পরপর তিনবার এই দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছি? কেউ কি ঘাস খেয়ে একটা দেশের তিনবার প্রেসিডেন্ট হয়?
বৃদ্ধ প্রেসিডেন্ট তার অফিসের নরম চেয়ারে শরীর ডুবিয়ে দিয়ে মনিটরে গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধানের ধূর্ত চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকে। এই মানুষটাকে কীভাবে শাস্তি দেয়া যায় তার নানা ধরনের পরিকল্পনা প্রেসিডেন্টের মাথায় খেলতে থাকে।
.
তোমার কী মনে হয়? প্রেসিডেন্ট কী রকম শাস্তি দেবে?
মেরে ফেলবে। নিশ্চয়ই মেরে ফেলবে।
মেরে তো ফেলবেই। কীভাবে মারবে?
দাঁড়াও, মাথাটার ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখি
একটি মহাজাগতিক প্রাণী প্রেসিডেন্টের মাথায় উঁকি দিয়ে তার নিউরনগুলোকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে। কোন পরিবেশে মানুষ কী করে সেটা সে ভালো করে জানতে চায়।
অনেক দিন থেকেই তারা পৃথিবী নামে একটা গ্রহের মানুষদের নিয়ে একটা এক্সপেরিমেন্ট করছে।