৭
সোমবার ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে রিনিতা দেখল পুরো বাড়ি যেন আরও থমথমে এমনিতে সকালে শিখা বারান্দায় চলে আসে, দুই বন্ধু গল্প করে, চা খায়। মনে হয় বাবার লাম্পট্যের এই বেপরোয়া স্বীকৃতিতে শিখা এত লজ্জিত যে বন্ধুর কাছে মুখ দেখাতে পারছে না। অথচ রিনিতা ব্যাপারটাকে সেরকম বড়ো করে দেখছে না। শিখারও দেখা উচিত নয়। ওরা এ যুগের ছেলেমেয়ে, প্রি-ম্যারিটাল আর এক্সট্রা ম্যারিটাল রিলেশানশিপ ওদের কাছে অতটা ট্যাবু নয়। শিখা যথেষ্ট প্রোগ্রেসিভ। বিয়ে না করে ‘লিভ টুগেদার’ নিয়ে সিরিয়াস আলোচনা ওরা করেছে। এ নিয়ে কোনো নৈতিক সমস্যা ওদের নেই। আসলে নিজের বাবা জড়িত বলেই ব্যাপারটা শকিং! হয়তো অরুন্ধতী দেবীর সম্মান ও কষ্টের জন্যে ওর এত খারাপ লাগছে।
সত্য কী করছেন কে জানে… তাঁর তো কোনো ‘দোষ’ নেই। বারান্দায় বসে এসব হাবিজাবি ভাবছে, দরজা খুলে সত্য বেরিয়ে এলেন। এই এক রাতেই ওঁর ওপর একটা ঝড় বয়ে গেছে, চেহারায় সেটা স্পষ্ট। দূর থেকে রিনিতা হাত নেড়ে ডাকল সত্যকে। ইতিমধ্যে একেনবাবুও ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন।
“আসুন স্যার, আসুন স্যার,” তিনিও সত্যকে আহ্বান জানালেন। সত্য এসে একটা চেয়ারে বসতেই জিজ্ঞেস করলেন, “কেমন আছেন স্যার?”
এই একটা প্রশ্নের জবাবে ইমোশনাল হয়ে সত্য একসঙ্গে গুচ্ছের কথা বলে ফেললেন।
“কেমন আছি! ব্যাপারটা এরকম হবে জানলে আমি আসতাম না। এতদিন জানতাম আমার আব্বা নেই, কিন্তু যখন জানতে পারলাম তিনি আছেন এবং জীবিত… না এসে পারলাম না। আর কিছু না হোক, আব্বা কেন আম্মাকে আর আমাকে ছেড়ে গেছেন সেটা জানার ইচ্ছে আমাকে তাড়া করে নিয়ে এসেছে! এসে অবশ্য বুঝতে পেরেছি ভুল করেছি। আব্বার এখনকার ফ্যামিলির কথা এক বারও ভাবিনি… তাদের দুঃখের কারণ হয়েছি। তা ছাড়া আব্বার ওপর মার্ডার অ্যাটেম্পট… সেটাও আমাকে খুব চিন্তায় ফেলেছে। কিছুদিন আগে নানা-নানিকে হারিয়েছি, ক’দিন আগে আম্মাকে। এখন আমার একমাত্র মুরুব্বি আব্বাকেও যদি হারাতে হয়!”
“আসলে, স্যার, আমরা ব্যাপারটা জানি না। এমনকী, স্যার, আপনার পুরো নামটাই জানি না! আপনার মা’র সঙ্গে তুঙ্গনাথবাবুর সম্পর্ক ছিল, সেটুকুই শুধু বুঝেছি।”
“আমার নাম জাফরউল্লা সত্যকাম। রামপুরহাটে প্রায় সবাই আমাকে জাফর নামেই চেনে।”
“ভেরি ইন্টারেস্টিং স্যার। তার মানে আপনি মুসলিম?”
উফফ, কানুদা না মাঝে মাঝে এত বোকা বোকা ভাব দেখায়! রিনিতা মনে মনে ভাবল।
“জি হ্যাঁ।”
“আপনি যে তুঙ্গনাথবাবুর ছেলে, সেটা বলতেই উনি মেনে নিলেন?”
উত্তরে সত্য গড়গড় করে যা বললেন, তা শুনে রিনিতা হতবাক! স্বল্প পরিচিত দু-জনের সামনে এমন অকপটে সত্য কেন নিজেকে উজাড় করে দিচ্ছেন? এই ভার আর চেপে রাখতে পারছেন না? কাউকে বলা দরকার?
“শুধু আমার মায়ের নামটা বলেছিলাম। বলেছিলাম, “ওঁর মৃত্যুসংবাদ দিতে এসেছি।” আব্বা প্রথমে খুব বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমাকে কেন?” একটু বানিয়েই বললাম, ‘মা মৃত্যুসংবাদ আপনাকে জানাতে বলে গেছেন।”
কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে আব্বা জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার নানা-নানি এখন কোথায় থাকেন?”
‘ওঁরা কেউ বেঁচে নেই। “
‘তোমার ভাই-বোন নেই?”
‘না, আমিই মায়ের একমাত্র ছেলে। মা কোনোদিন বিয়ে করেননি।”
“তার মানে তুমি একেবারে একা?”
‘জি।”
‘বিয়ে করেছ?”
‘আজ্ঞে না।”
‘তুমি জানো তুমি আমার সন্তান?”
‘জি, মা বলে গেছেন।
আমার মাথায় হাত দিয়ে বললেন, ‘চলো, আমার বাড়িতে ক’দিন আমার কাছে থাকবে।” এই প্রথম আব্বার স্বর কোমল ঠেকল।”
“একটা কথা স্যার। আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে, আপনার মা তুঙ্গনাথবাবুকে ওঁর মৃত্যুসংবাদ দিতে বলে যাননি, তাই কি?”
“ঠিক। মাস ছয়েক আগে আব্বার নাম হঠাৎ আবিষ্কার করেছিলাম। মা তখন অসুস্থ। কী কারণে আম্মার আলমারি ঘাঁটতে হয়েছিল। তখনই আম্মাকে লেখা আব্বার কিছু পুরোনো চিঠিপত্র দেখি। নামটা অচেনা, তার থেকে একটা চিঠি হাতে দিতেই আম্মা কাঁদতে শুরু করলেন। জিজ্ঞেস করলাম, ‘চিঠি দেখে তুমি কাঁদছ কেন?” মা বললেন, ‘তোর আব্বার চিঠি। কিন্তু কসম খেয়ে বল, কোনোদিন ওর সঙ্গে যোগাযোগ করবি না। করলে ওর পরিবারে অশান্তি হবে।” এসব ঘটনা অল্প কিছুদিন আগের ব্যাপার। আমি বরাবর জানতাম আব্বা আমার জন্মের আগে মারা গেছেন। আম্মা সুন্দরী ছিল… শুধু সুন্দরী নয়, অপূর্ব সুন্দরী। বড়োলোকের একমাত্র সন্তান, তার ওপর এত সুন্দরী… নানা-নানির মুখে শুনেছি আম্মাকে বিয়ে করার জন্য অনেকেই পাগল ছিল। আমি জন্মাবার পরও বিয়ের বহু প্রস্তাব এসেছিল। আম্মা রাজি হয়নি।”
এটুকু বলার পর একটু থেমে সত্য আবার বললেন, “বিশ্বাস করুন, আমি এসেছিলাম আব্বাকে শুধু এক বার চোখে দেখতে… কোনো এক্সপেক্টেশন নিয়ে আসিনি। কিন্তু আব্বার আদেশ অমান্য করতেও চাইনি। আব্বাকে অনুরোধ করেছিলাম, যদি থাকি আমার পরিচয় গোপন রাখতে। আব্বা বলতেনও না। হঠাৎ আমাকে নিয়ে এত গোলমাল হচ্ছে দেখে বোধহয় মেজাজ ঠিক রাখতে পারেননি।”
“আমার খুব খারাপ লাগছে,” রিনিতা বলল, “এরকম অপমানজনক পরিস্থিতিতে আপনাকে পড়তে হল।”
“আসলে আম্মার কথা না রেখে এখানে আসাটাই আমার ভুল হয়েছে… তবে না এসে পারিনি।”
“ভেরি স্যাড, স্যার। আচ্ছা, তুঙ্গনাথবাবুর কথা আপনার নানা-নানি জানতেন না?”
“মনে হয় না। মা ওঁদেরও কোনোদিন বলেননি। এমনিতে আম্মা খুব নরম, কিন্তু অসাধারণ মনের জোর ছিল… শুধু শেষের কটা দিন…।” সত্যর চোখ দুটো জলে ভরে উঠল।
এ নিয়ে আর বেশি প্রশ্ন করা গেল না, কল্পনা আসছে। বারান্দায় এসে কল্পনা সবাইকে উদ্দেশ করে জিজ্ঞেস করল, “আপনারা খাবার ঘরে খাবেন নাকি?”
“আমার খাবার কি আমার ঘরে দেওয়া যাবে?” সত্য জিজ্ঞেস করলেন। “যাবে,” বলে কল্পনা চলে গেল। সত্যও “আসছি,” বলে উঠে নিজের ঘরে গেলেন।
শিখা বারান্দায় আসেনি, ঘরেও নেই। মনে হয় মা’র ঘরে আছে। একেনবাবু আর রিনিতা কিছুক্ষণ চুপচাপ বারান্দায় বসে রইল। একেনবাবু হঠাৎ রিনিতাকে প্ৰশ্ন করলেন, “রিনি, ধর্ম নিয়ে তোর কি কোনো সমস্যা আছে?”
“না, কেন বলো তো!”
“ভাবছিলাম।”
“কী ভাবছিলে?”
“ছেলেটা হ্যান্ডসাম, তার ওপর রাজার ছেলে… রাজরানি হবার এরকম একটা সুযোগ…”
“কানুদা! তুমি এবার থামো।”
“কী মুশকিল, দাদা হিসেবে আমার একটা দায়িত্ব আছে তো!”
“অত্যন্ত ইরিটেটিং তুমি! যাও, আমার পেছনে না লেগে ঘরে গিয়ে নিজের কাজ করো, আমারও অনেক কাজ আছে!”
“যাচ্ছি, যাচ্ছি!” একগাল হেসে একেনবাবু পালালেন।
রিনিতা ঘরে গিয়ে ল্যাপটপ খুলে অফিসের কাজে মন দেবার চেষ্টা করল। কাল রাতের ওই ড্রামার পর মাথা ভালো কাজ করছে না। কিছুক্ষণ সময় লাগল মনস্থির করতে। পাশের ঘর থেকে আসা শব্দ শুনে মনে হল কানুদা ফোন করছে বেশ কয়েকটা। একটা নিশ্চয়ই বউদিকে, সেটা গলার সুরে ধরা যায়। অন্যগুলো কাজের।
সাড়ে আটটার সময় দরজায় টোকা, কানুদা মাথা গলাল।
“আজকে বোধহয় লেট ব্রেকফাস্ট। খাবার ঘরে কাউকে দেখলাম না।”
“তোমার খুব খিদে পেয়েছে?”
“আরে না। বুঝলি, একটা জিনিস ভাবছি। … বাবা-মায়ের সম্পত্তির ওপর অবৈধ সন্তানদেরও কিন্তু সমান অধিকার।
তখনও রিনিতার মাথায় কাজের কথা ঘুরছে। অন্যমনস্কভাবে বলল, “বুঝলাম না।”
“মানে এই বাড়ির ওপর ঋদ্ধিবাবু আর শিখার যতটা অধিকার, সত্যবাবুরও ঠিক ততটাই অধিকার।”
“তার মানে তুঙ্গনাথবাবু খুন হলে সত্যর লাভ আছে?”
“তা আছে। উনি নিজেই তো আমাদের সবার সামনে সত্যবাবুকে সন্তানের স্বীকৃতি দিয়েছেন।”
“কী সর্বনাশ, তার মানে তো তুঙ্গবাবুকে খুনের চেষ্টার পেছনে সত্য জড়িত থাকতে পারেন!”
“তা পারেন, কিন্তু সেটা প্রমাণিত হলে গলায় দড়ি ছাড়া কিছুই পাবেন না।”
“হুঁ!” রিনিতা কথা ঘোরাল। “সাতসকালে কাকে ফোন করছিলে? একটা নিশ্চয়ই বউদিকে, অন্যগুলো?”
“নিউ ইয়র্কে বাপিবাবুকে। ওঁর মামা সিউড়িতে ওকালতি করেন, হয়তো রামপুরহাটের অনেককে চিনবেন।”
“কার খোঁজখবর নেবেন উনি, সত্যর?”
“ভাবছি। আমি বুঝলি, ট্রাস্ট বাট ভেরিফাই-এ বিশ্বাসী। উনি যা বললেন, সেটা হান্ড্রেড পারসেন্ট ঠিক কিনা একটু দেখে নিতাম।”
“তিরিশ-পঁয়তিরিশ বছরের পুরোনো খবর, কে ভেরিফাই করবে?”
“গুড পয়েন্ট।”
“কী তোমার মাথায় ঘোরে কানুদা, তুমিই জানো! চলো, দেখি খাবারের কী অবস্থা।”
.
ততক্ষণে খাবার ঘরে সবাই, অর্থাৎ তুঙ্গনাথবাবু, অরুন্ধতী দেবী, ঋদ্ধি আর শিখা — চার জনই উপস্থিত। একেনবাবু আর রিনিতাই শুধু বাইরের লোক। কল্পনা খাবার দিচ্ছে, সবাই নিঃশব্দে খাচ্ছে। ময়দার লুচি, ছোলার ডাল, আর বেগুনভাজা। রিনিতার প্রিয় খাবার। ব্যাঙ্গালোরে এসব জোটে না, পাওয়া যায় শুধু পুরি। কিন্তু কাল থেকে একেবারেই খাওয়ায় মন নেই। ঝড় না এলে আজকেই পালাত রিনিতা। কিন্তু তা হবার নয়। শেষ খবর ঝড় বিকেলের মধ্যে হানা দেবে। শেষ হতে হতে কাল দুপুর। কাল গাড়ি না পেলে ট্রেনেই ফিরে যাবে। এখানে যা অবস্থা, শিখা হয়তো ওদের সঙ্গে যাবে না। তবু এক বার জিজ্ঞেস করতে হবে।
এমনিতেই তুঙ্গনাথ বেশি কথা বলেন না। আজ প্রায় মুখ বন্ধ। শুধু এক বার কল্পনাকে জিজ্ঞেস করলেন, “সত্যকে খাবার দিয়েছ?”
“দিছি,” কল্পনার সংক্ষিপ্ত উত্তর।
শিখা চুপচাপ, শুধু ঋদ্ধি মায়ের সঙ্গে ফিসফিস করে কিছু আলোচনা করছে। এতই আস্তে, রিনিতা কান পেতেও শুনতে পেল না। খাওয়া শেষ করে ওঠার আগে শিখার কাছে গিয়ে রিনিতা বলল, “হ্যাঁরে, খাওয়া হলে একটু আমার ঘরে আসবি? কিছু কথা আছে। তোর ঘরেও যেতে পারি, যেটা সুবিধে।”
“তুই যা, আমি আসছি।”
.
খানিকক্ষণের মধ্যেই শিখা এল, মুখ-চোখ বিধ্বস্ত। বন্ধুকে জড়িয়ে ধরল রিনিতা।
“ঠিক আছিস তুই?”
“আমি ঠিক আছি, মাকে নিয়েই এখন চিন্তা… হঠাৎ কিছু না করে বসে!”
“বুঝতে পারছি রে, উনি অন্য যুগের মানুষ। এটা ওঁর কাছে অত্যন্ত শকিং!”
“এমনিতেই বাবার সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক প্রায় নেই। সেটা আজ নয়, বহুদিন থেকেই। জানিস, মা ছিল সে সময়কার প্রোগ্রেসিভ মেয়ে। পড়াশুনো করছিল, খুব ভালো ছাত্রী ছিল শুনেছি। পড়াশুনো শেষ না করে বিয়ে করতে মা রাজি হয়নি। বিয়ের পরে মাকে পড়াশুনো করতে দেওয়া হবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাবা বিয়েতে রাজি করিয়েছিল। বিএ ফাইনাল ইয়ারে যখন পড়ছে, বিয়ে হল। সেখানেই পড়াশুনোয় ইতি। বউদের পড়াশুনোর দরকার নেই— ঠাকুরদা বিধান দিলেন। বাবা বেমালুম প্রতিশ্রুতি ভুলে নিজের বাবাকে সাপোর্ট করন হান্ড্রেড পারসেন্ট। বর্মণ বাড়ির ট্র্যাডিশন বলে কথা! সেই যে মা নিজেকে গুটিয়ে নিল…। বিশ্বাস কর, মায়ের ওয়ার্থ বলতে যা বোঝায়, আমরা তা পাইনি। সব প্রয়োজন মিটিয়েছে মা, কিন্তু ছোট্টবেলা থেকে মনে হয়েছে কোথাও যেন ফাঁক রয়ে গেছে! বাবা তো চিরকালই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। এই বাড়িটাই বাবার সন্তান। দাদা স্পয়েন্ট চাইল্ড, কিন্তু তার জন্য দায়ী ঠাকুরদা-ঠাকুরমা, বাবা-মায়ের স্নেহ বেশি পায়নি। আমিও পাইনি, কিন্তু ছোটোবেলা থেকেই আমি শক্ত। আজকেই প্রথম দেখলাম দাদার হয়ে মা দাঁড়িয়েছে… একটু আগেই আমাকে বলেছে গাড়ি করে সবাইকে কলকাতার বাড়িতে নিয়ে যেতে। বাবা এখানে থাকুক তার নতুন ছেলেকে নিয়ে।”
একনাগাড়ে কথাগুলো বলে শিখা হাঁপাতে লাগল। চোখ দিয়ে টস টস করে জল পড়ছে। রিনিতা বন্ধুকে জড়িয়ে ধরল আবার।
“সরি।” কান্না কান্না গলায় শিখা বলল।
“সরি কেন?” রিনিতা অবাক হয়ে প্রশ্ন করল।
“তোকে এ বাড়িতে এনে এরকম জঘন্য একটা পরিস্থিতিতে ফেলেছি।”
‘কী স্টুপিডের মতো কথা বলছিস! শোন তোর যদি গাড়ি ম্যানেজ করতে অসুবিধা হয়, কানুদাকে বলছি, তোদের জন্য একটা বড়ো গাড়ির বন্দোবস্ত করে দেবে। আর তুই চাইলে ক’দিন আমার বাড়িতে থাকবি। তারপর তো আমরা দু-জনেই ব্যাঙ্গালোরে পালাচ্ছি।
“দেখি, মা’র জন্য একটা ব্যবস্থা না করে তো যাওয়া যাবে না।”
“মাসিমাকে ব্যাঙ্গালোরেও নিয়ে যাওয়া যায়… ভেবে দেখিস।”
শিখা কিছুক্ষণ চুপ করে বসে তারপর রিনিতাকে একটু জড়িয়ে ধরে চলে গেল। সত্যর যে খবরগুলো দেবে বলে শিখাকে ডেকেছিল রিনিতা, তা আর দেওয়া হল না।