২
দোতলায় উঠে শিখার মা’র সঙ্গেই প্রথম দেখা। নীচু হয়ে প্রণাম করতে যেতেই ঝট করে সরে গেলেন।
“থাক, থাক। শিখার মুখে তোমার কথা শুনেছি। তুমি এসেছ, ভালো। শিখার এই জায়গাটা আবার তেমন পছন্দ হয় না। এ হল বুড়ো-বুড়িদের জায়গা।”
শিখা আপত্তি জানাল, “না মা, আমি মোটেই তা বলিনি।”
“না, মুখে বলোনি,” ঠান্ডা হাসলেন অরুন্ধতী। মুখ ঘুরিয়ে রিনিতাকে বললেন, “এখানে শাকসবজি, মাছ খুব টাটকা। যা খেতে ইচ্ছে করবে কল্পনাকে বলবে, করে দেবে। গোপাল বাজার করে আনে। এ বাড়িতে রান্নাবান্না, ঘরদোর সামলানো কল্পনাই করে। আশাকরি তোমার ভালো লাগবে। তুমি একটু খেয়াল রেখো শিখা, বন্ধুর যেন কোনো অসুবিধা না হয়। ওর ঘর গুছিয়ে দেওয়া হয়েছে, দেখিয়ে দিয়ো।”
এতদিন পরে দেখা হয়েও মা-মেয়ের মিলনের শীতলতা দেখে রিনিতার অবাক লাগল। এ বাড়িতে সব কিছু কেমন অন্যরকম। সত্যি কথা বলতে কী, শিখাও মাঝে মাঝে কেমন যেন কাঠ কাঠ হয়ে যায়।
.
সুন্দর ঘর, টান টান করে ঢাকা দেওয়া বিছানা। এসি নেই, কিন্তু খাটের ওপর একটা মস্ত সিলিং ফ্যান ঝুলছে। রাতে অন্তত ঘুমোনো যাবে। মোটা দেয়ালের পুরোনো বাড়ি, উঁচু সিলিং, বড়ো বড়ো জানলা- রিনিতার খুব একটা গরম লাগল না।
দোতলাটা ভালোই সংস্কার করা হয়েছে। ঘরের লাগোয়া একটা মডার্ন বাথরুম– বিশাল সাইজ। শাওয়ার, ফ্লাশ টয়লেট, জামাকাপড় রাখার আলনা। কলকাতায় এরকম লাক্সারি কল্পনা করাও কঠিন। পরে শিখা বলল আগে নাকি পুরো দোতলার জন্যে তিনটে ওল্ড ফ্যাশন্ড চৌবাচ্চাওয়ালা বাথরুম ছিল। বছর আটেক আগে তুঙ্গনাথ যখন রিটায়ার করে এখানে এসে থাকার প্ল্যান করছিলেন, তখন বাড়ির চার সদস্যের ঘরের পাশের একটা ঘর বাথরুম করে ফেলা হয়েছে। পরে শিখা জোর করে তিনটি গেস্ট রুমে বাথরুম যোগ করিয়েছে। তারই একটিতে রিনিতা থাকছে।
শিখা আর রিনিতা দেরিতে পৌঁছেছে, শিখার বাবা, মা, আর দাদা আগেই খেয়ে নিয়েছেন। ওদের জন্যে খাবার তোলা ছিল। কল্পনামাসির রান্না, উনিই সার্ভ করলেন। শিখার বাবা তুঙ্গনাথ বা দাদা ঋদ্ধির দেখা পাওয়া গেল না। মা-ও নিজের ঘরে। টেবিলে বসে খেতে খেতে রিনিতা জিজ্ঞেস করল, “তোর দাদা তো এখন এ বাড়িতেই আছেন, তাই না?”
“হ্যাঁ, মনে তো হয়। এসে অবধি এখনও দেখা পাইনি। কোথাও চরতে গেছে! “বাবা?”
“বাবার সঙ্গে কে যেন দেখা করতে এসেছে শুনলাম, তাকে নিয়ে বেরিয়েছে।”
খাওয়ার পরে শিখা ঘুরে ঘুরে রিনিতাকে বাড়িটা দেখাল। তারপর বিকেলের রোদ একটু পড়তেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ল দুই বন্ধু। কাছেই একটা ফার্ম হাউজ আছে। এক জার্মান সাহেব তার বাঙালি স্ত্রীকে নিয়ে একটা ভেঞ্চার শুরু করেছে। কিছু লোকাল মেয়ে তাতে কাজ করে। একটা আউটলেটে বিক্রি হচ্ছে তাদের তৈরি আচার, কাসুন্দি, আমসত্ত্ব, সস। কিছুক্ষণ ওখানে কাটিয়ে এদিক-ওদিক ঘুরতে ঘুরতে অন্ধকার হয়ে গেল।
বর্মণ বাড়িতে রাতের খাওয়া হয় তাড়াতাড়ি। তার কারণ বোধহয় কল্পনামাসির বাড়ি যাবার তাড়া। সে-ই ডাক দিয়ে সবাইকে টেবিলে নিয়ে এল। ডিনারে সবার সঙ্গে দেখা হল রিনিতার। ঋদ্ধি আগ বাড়িয়ে ভাব জমাবার চেষ্টা করছিল, কিন্তু শিখার সাবধানবাণী মনে পড়ায় রিনিতা সতর্কভাবে উত্তর দিল। শিখার মা মুখ বুজে খেয়ে যাচ্ছেন। ওর সঙ্গে একটা-দুটো ছাড়া শিখা কারোর সঙ্গে কথা বলছে না। বাবা আর ছেলের মধ্যে যে খুচরো বাক্যালাপ চলছে তাতে টেনশন স্পষ্ট। এমন অস্বস্তিতে রিনিতা বেশি পড়েনি।
মনে হল তুঙ্গনাথবাবু কিছু নিয়ে বেশ চিন্তিত। আলাপ হবার পর, ‘তুমি শিখার বন্ধু’, ‘কী করো”, “কোথায় থাকো’, টাইপের কয়েকটা প্রশ্ন করলেন বটে কিন্তু উত্তরগুলো কানে গেল কিনা বোঝা গেল না। খাওয়া প্রায় শেষ হব হব, উনি হঠাৎ ঘোষণা করলেন, “আজ রাতে একটা ছেলে আসবে, এ বাড়িতে ক’দিন থাকবে।”
“এত রাতে?” ঋদ্ধি অবাক হয়ে প্রশ্ন করল।
তুঙ্গনাথ ভুরু কোঁচকালেন, “যেখান থেকে আসছে সেখান থেকে চট করে তাসা যায় না।”
“কাল এলেই পারত!” ছাড়া ছাড়া গলায় অরুন্ধতী দেবীও মন্তব্য করলেন। “তোমাদের কোনো অসুবিধে আছে? আজ রাতে তো খাবে না। আর আমি কল্পনাকে বলেছি ঘর গুছিয়ে রাখতে। তোমাদের চিন্তা কীসের? সামলায় তো কল্পনা।” ওঁর কথায় উষ্মা, স্ত্রী আর ছেলের মতামতের প্রতি অবজ্ঞা। বোঝা যায় তুঙ্গনাথ কারোর কথা শুনে চলতে অভ্যস্ত নন। তবে রিনিতা যেটুকু দেখেছে, কল্পনাই যে সব কিছু সামলায়, সেটাও ঠিক। বাস্তবিকই অত্যন্ত এফিশিয়েন্ট মহিলা। বাড়ির সবাইকেই বকাঝকা করে সোজা রাখছে, এমনকী তুঙ্গনাথেরও নিষ্কৃতি নেই। এবার সে আপত্তি জানাল।
“এই শুনি ঝড়জল আসতিছে, এর মদ্দি আবার অতিথ আসার দরকার ছেল কী বাপু! ঝামিলায় পড়বেনি!”
তুঙ্গনাথ জবাব দিলেন না। খাওয়া শেষ হয়ে গিয়েছিল, উঠে চলে গেলেন।
কল্পনা দেখছি সব খবরই রাখে, মনে মনে ভাবল রিনিতা। এই ঝড়-বৃষ্টির খবর রিনিতাও বিকেলে ফোনে পেয়েছে। গতকাল পর্যন্ত সেটা ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল উড়িষ্যার দিকে, হঠাৎ দিক পরিবর্তন করে দিন তিন-চারের মধ্যে এদিকে ধেয়ে আসবে মনে হচ্ছে। প্রেডিকশন হল ঝড়ের পূর্ণ দাপটে বাতাসের বেগ ঘণ্টায় একশো কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। তার মানে সেই তাণ্ডবে পুরো জায়গাটাই ওলটপালট হয়ে যাবে! হালকা ফোর্সে এলেও বৃষ্টির জন্যে রাস্তাঘাটে জল জমবে।
খবরটা পেয়ে অবধি রিনিতার মনে ঘুরে চলেছে আশঙ্কা, ফিরবে কী করে! শিখা অবশ্য বলছে থেকে যেতে, ঝড় চলে গেলে দু-জনে একসঙ্গে কলকাতায় ফিরে যাবে। রিনিতার সেটা পছন্দ হচ্ছে না। এই একদিনেই টেনশনপূর্ণ আবহাওয়ায় পুরোনো বাড়ি দেখার কৌতূহল উবে গেছে। শিখাকে তো বলতে পারবে না ‘ফেরত দিয়ে আয়’! রিনিতা ঠিক করল ঘরে গিয়েই কানুদাকে ফোন করে বলবে এখান থেকে ফেরার ব্যবস্থা করতে। ওর এই মামাতো দাদাটি অসম্ভব করিতকর্মা। বাইরে থেকে দেখতে ভিজে বেড়াল, ন্যাল্যাখ্যাপা, খামখেয়ালি। কিন্তু মস্তিষ্ক চলে ক্ষুরধার ছুরির মতো। সে ঠিক কিছু না কিছু ব্যবস্থা করবে।
কানুদা আজকাল প্রায় সময়ই নিউ ইয়র্কে থাকে, এখন দেশে এসেছে। এটুকু কাজ করতে ওকে বলাই যায়। রিনিতা ঠিক করল তাড়াতাড়ি ফোন করে ফেরার প্ল্যান করে ফেলবে। ঝড়ে সেলফোনের টাওয়ার-ঠাওয়ার পড়ে সিগন্যাল উড়ে গেলেই চিত্তির। তখন সব কমিউনিকেশন বন্ধ!
.
খাবার টেবিল থেকে বাবা চলে যেতেই ঋদ্ধি বলে উঠল, “ভীমরতি হয়েছে! কোথাকার কোন লোককে এই দুর্যোগের মধ্যে আসতে বলেছে। একে পুরোনো বাড়ি, একশো কিলোমিটার বাতাসের ধাক্কা, ধসে পড়ে কিনা ঠিক নেই। মা, তুমি বাবাকে চাপ দাও সময় থাকতে কোনো প্রোমোটারকে বাড়িটা দিয়ে দিক। টাকা, ফ্ল্যাট দুটোই পাবে। আমিও চিনি কয়েক জনকে। একজনের তো ক’দিন বাদেই বাড়ি দেখতে আসার কথা। এখন আসতে পারবে কিনা কে জানে!”
ঋদ্ধির উত্তেজিত কথার মধ্যে শিখা বলল, “বাবাকে না জানিয়ে এসব করতে গেছিস কেন?”
“আরে না, না, আসবে আমার বন্ধু হয়ে। বাড়িটা দেখে-টেখে একটা আইডিয়া দেবে কত টাকা পাওয়া যেতে পারে। কনট্র্যাক্ট নিয়ে কথা পরে হবে।”
“তাতে লাভ কী? বেঁচে থাকতে বাবা থোড়াই বাড়ি ছাড়বে! শুধু শুধু ঝামেলা পাকাচ্ছিস।”
“ঝামেলা আবার কী? বাড়ি তো নয়, হাতি পোষা হচ্ছে। আর টাকার জন্যে তো বাবা সবসময়ই খিঁচিয়ে থাকে!”
“তোমাদের এসবের মধ্যে আমি নেই,” অরুন্ধতী বললেন। “কল্পনা, লোকটা কোথায় শোবে ঠিক করেছ?”
“বাবুর ওপেশে অতিথঘরে গো। বাবুই বলে দেছে। দিদিমণিদের পাশটিতে আর দেলেম না।”
“বাবু বলে দিয়েছে? তাহলে তো আর কথাই নেই, ঠিক আছে,” শিখার মায়ের গলায় কি শ্লেষের ছোঁয়া? “আর শোনো কল্পনা, বাড়িতে বলে এসো, কাল: থেকে ক’দিন এখানেই থাকবে। ঝড়-বৃষ্টি আসছে, অতিথি আসছে। আমাদের দরকার হবে।”
কল্পনা উত্তর দিল না। কিন্তু প্রস্তাবটা যে ওর মনঃপূত নয়, তা মুখ দেখে বোঝা গেল। রিনিতা ভাবল কাল আর এসেছে কল্পনা!
.
ডিনার পর্ব শেষ। ঘরে গিয়ে কানুদাকে ফোন করল রিনিতা।
“কিচ্ছু ভাবিস না, এই দু-দিন হবে না, কিন্তু গাড়ি ভাড়া করে সোমবার সক্কাল সক্কাল বেরিয়ে তোর কাছে চলে যাব, ঝড়-বৃষ্টি শুরু হবার আগেই আমরা ফিরে আসতে পারব। মাত্র তো কয়েক ঘণ্টার পথ।”
“ঝড়-বৃষ্টিতে আটকে গেলে?”
“তাহলে আর কী, তোর বন্ধুর বাড়িতে থেকে যাব। থাকার জায়গা হবে না?”
“দাদা, এটা একটা রাজপ্রাসাদ!”
“বলিস কি রে! তাহলে তো এক্সট্রা জামাকাপড় নিতেই হবে। আটকা পড়লে রাজপ্রাসাদে থাকাও হবে!”
“উফ, তুমি পারো-ও। চিন্তায় মরছি কী করে ফিরব, আর তুমি রাজবাড়িতে থাকার প্ল্যান করছ! তাড়াতাড়ি চলে এসো।”
ফোনে কানুদার হাসি ভেসে এল, “ভাবিস না, শিগিরি দেখা হবে।”
কিছুটা শাস্তি। কানুদাটা এত অ্যাকোমোডেটিং, রিনিতা জানত একটা সুরাহা করবেই।
মোবাইলে মেসেজ নোটিফিকেশন বাজল জলতরঙ্গের শব্দে। এত রাত্রে কার মেসেজ? রিনিতা ফোন তুলে দেখল অফিস থেকে নির্দেশ এসেছে- একটা জরুরি কাজ, দ্রুত শেষ করে পাঠাতে হবে। ছুটিতে এসেও মুক্তি নেই! ভাগ্যিস বুদ্ধি করে ল্যাপটপ সঙ্গে এনেছে! এখানে ওয়াইফাই নেই, তবে মোবাইল সিগন্যাল আছে। তাই দিয়ে নেট-এর কাজ মোটামুটি চলে যাবে। এত রাতে না, কিন্তু কাল সকাল থেকেই কাজে লাগতে হবে। তার ফাঁকে ফাঁকে সামান্য ঘুরে দেখা।
রিনিতা ওয়েদার আপডেট দেখল। হ্যাঁ, মঙ্গলবারই ঝড় আসছে— বিকেল বা রাতের দিকে— তবে আসার গতিটা একটু বেড়েছে!
পরশু যে ও চলে যাবে শিখাকে জানানো দরকার। হঠাৎ এই চেঞ্জ অফ প্ল্যান-এ রাগ না করে! অফিসের কাজটা ঠিক সময়ে এসে পড়েছে, সেটার অজুহাত দেখানো যাবে। কাজের প্রেশার শিখা বুঝবে।
ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দায় এসে রিনিতা দেখল শিখা একজন অচেনা লোকের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। শিখাই পরিচয় করিয়ে দিল, ভদ্রলোকের নাম সত্য। এঁর কথাই কিছুক্ষণ আগে খাবার টেবিলে তুঙ্গনাথ বলেছিলেন। তুঙ্গনাথের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন, দিন কয়েক থেকে চলে যাবেন। অতিথিকে শিখার সঙ্গে আলাপ করিয়ে তুঙ্গনাথ শুতে চলে গেছেন। এখন শিখার দায়িত্ব নতুন অতিথিকে সব কিছু দেখিয়ে দেওয়া! ভদ্রলোক খুবই সুদর্শন, বয়সে শিখার চেয়ে একটু ছোটোই হবেন। মার্জিত কথাবার্তা। রিনিতার মনে হল নবাগতের সঙ্গে গল্প করতে শিখার খুব একটা খারাপ লাগছে না!
সেখানে না দাঁড়িয়ে থেকে শিখাকে জানাল রিনিতা, “সোমবার চলে যেতে হবে রে। কাজ পাঠিয়েছে রাওসাহেব। তা ছাড়া যা ঝড়-বৃষ্টি আসছে, না গেলে আটকে পড়ব।”
বন্ধুর আসন্ন বিরহে শিখাকে খুব একটা কাতর দেখাল না।
“কী করে যাবি?”
“এক্ষুনি কানুদাকে ফোন করলাম। গাড়ি করে এসে নিয়ে যাবে।”
“কানুদা?”
“তোকে বলিনি ওর কথা? আমার মামাতো দাদা- একেন্দ্র সেন। আমাকে নিয়ে যাওয়ার চেয়ে রাজবাড়ি দেখতে বেশি উৎসাহী।”
“ভালোই হল। আমিও ফিরে যাব তোর সঙ্গে। অফিসের প্রচুর কাজ ফেলে এসেছি। এখানে নেট তো ঈশ্বরের মতন— ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই’! তোর দাদার গাড়িতে জায়গা হবে না? এই ঝড়-বৃষ্টিতে বাবা গাড়ি নিতে দেবে না।”
“নিশ্চয় হবে। আমরা তো শুধু দু-জন থাকব।”
নতুন অতিথি বললেন, “ইসস, পারলে আমিও একটা রাইড নিতাম, কিন্তু আমি থাকি উলটো দিকে—রামপুরহাট। কী মুশকিল বলুন তো? গাঁয়ে-গঞ্জে ঝড়-বৃষ্টি শুনলেই পিলে চমকে যায়।”
কথাটা একটু মজা করেই বলা। শিখা জিজ্ঞেস করল, “কিন্তু আপনি তো একটা কাজ নিয়ে এসেছেন? সেটা হয়ে যাবে?”
প্রশ্নটা শুনে সত্য একটু থতমত খেলেন। “না, তেমন বিশেষ কোনো কাজ নয়।”
রিনিতা যখন শুতে গেল সত্য আর শিখা তখনও বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথা বলছে।
ঘরে ঢুকে রিনিতা দেখল এর মধ্যে ঢাকা সরিয়ে পরিপাটি বিছানা পাতা। টেবিল ল্যাম্পের পাশে নাইট স্ট্যান্ডে এক গ্লাস জল লেসের ঢাকা দিয়ে রাখা। সব কাজে যত্নের ছাপ।
ঘর থেকে মুখ বাড়িয়ে শিখাকে সেটা বলতেই মুচকি হেসে বলল, “ভাবিস না, কল্পনামাসি সকালে বেড-টিও দিয়ে যাবে। বেড-টি ছাড়া আমরা কেউ বিছানা ছাড়ি না।”