একদিন…

একদিন তোমার হাত ধরে জয়পুরের রাস্তা দিয়ে বেড়াবো,
অসমাপ্ত পাহাড়কে বলবো, আমরা এসেছি।
একটা শুকনো নদীর গর্ভে নেমে গিয়ে মরা ঝাঁঝি
হাতে তুলে নিয়ে বলবো, মনে আছে
ঝাড়লন্ঠনের বিচ্ছুরিত আলোর মতন আনন্দ খেলা করবে শরীরে।
কোনদিন জয়পুর যাইনি কিন্তু জানি কোথায় জয়পুর আছে–
চিনতে আমার ভুল হবে না।
ধ্বংসস্তুপের মাঝখানে একটা ভয়হীন মিনারে ঠেস দিয়ে
হাওয়া তেকে আঁচল ফিরিয়ে আনবে তুমি
তোমার মকরমুখো সুবর্ণ কঙ্কনে রিনিঝিনি শব্দ উঠলে
আমি লীয়মান সূর্যরশ্মির দিতে তাকিয়ে বলবো,
এবার অম্বা মন্দিরে সাতটা ঘন্টা বাজবে
শুধু শব্দ নয়, তার প্রতিধ্বনি, শুধু অর্জন নয়, তার উপহার
ফিরে আসবে তখন, কে যেন বলবে, জানতাম!
মর্মরে প্রতিফলিত মুখশ্রী প্রশ্ন করবে, সত্যি, সব মনে আছে?
আমি সবকটা বোতাম খুলে হেসে বলবো,
বাঃ, জলের ধারে বসে থাকার ছবি কখনো মুছে যায়?
প্রতিটি নিশ্বাস দীর্ঘ- এইরকম দুঃখহীন খুশির মধ্যে
হাত ধরাধরি করে ছুটতে ছুটতে শুনতে পাবো
রাজপুতানীদের মান-ভাঙার গান
কেউ উচ্চারন করবে না, তবু সবাই বলবে,
আঃ, কি সুন্দর বেঁচে আছি, উড়বে লাল রঙের ধুলো
এক মুহূর্তের জন্য সমস্ত মৃতেরাও জেগে উঠে ধন্যবাদ দিয়ে যাবে
পাথুরে সবল রাস্তা যেখানে বাকঁ ঘুরে ঢালু হয়ে নেমেছে
সেখানে আমরা থমকে দাঁড়লে ভেসে আসবে তরতাজা দৃশ্যের ঘ্রাণ
ময়ূরের আত্মীয়ের মতন সন্ধ্যা অকস্মাৎউল্লসিত হয়ে ঘোষনা করবে
এই নাও, আজ এই জয়পুর তোমাদের।