রোজ আমি কান্তিমান একটি বাড়ির কথা ভাবি।
সে-বাড়িতে কারা কীরমভাবে আছে
ভাসাভাসা কানে আসে, কিছুবা কল্পনা
করে নিই, মনে মনে মনোনীত রঙের পোঁচড়া
সস্নেহে বুলিয়ে দিই বাড়িটার গায়ে। খুব কাছে
যাইনি কখনো শুধু দূর থেকে দেখি।
কোনো কোনো ভোরবেলা ঘুম ভেঙে গেলে
মনে হয় সে-বাড়িতে শুয়ে আছি দক্ষিণের ঘরে
এবং পাশের ঘর পাঠাচ্ছে নৈবেদ্য ক্রমাগত
ক্লিফ রিচার্ডের গান। এলো
সৌন্দর্য সুঠাম তন্বী ছন্দে, হাতে ভোরের চায়ের সরঞ্জাম,
তারপর সুবাসিত আভিজাত্য ঝুঁকে থাকে আমার ওপর।
যখন বয়স্ক হয় রোদ, সে বাড়ির
আয়তন, রঙ কিংবা কী তার ধরন, আসবাব,
উপচার, বাসিন্দা কজন-
কিছুই পড়ে না মনে। স্মৃতিভ্রষ্ট আমি ভাবি শুধু
বাড়িটার কথা।
ছিল কি পুষ্পিত কোনো ডাল নুয়ে দক্ষিণের জানালায়?
আমি কি সদলবলে করবো ঘেরাও বাড়িটাকে
অবেলায়? নাকি
বেবাক গুঁড়িয়ে দেবো গ্রেনেডের প্রচণ্ড ধমকে?
আগুন লাগিয়ে দিই যদি,
তবে কি আমার গায়ে চিরদিন থাকবে নাছোড়
লেগে অন্যায়ের ছাই?
বাড়িটা যেমন আছে, তেমনি থাক তার অপরূপ
শোভা, শিল্প, পিছুটান নিয়ে।
কথোপকথন হোক সেখানে নিবিড়, কেউ লনে
দাঁড়াক বিকেলবেলা, যাক
মিশে পুষ্পবিকাশের সুরে। হয়তো আমি কোনোদিন
প্রকৃত সেখানে যাবো; আপাতত ভাবি শুধু বাড়িটার কথা।