একজন প্রৌঢ়, তিনটি পুস্তক

কেমন ধূসর কাল নিশ্চিন্তে করছে গ্রাস সময়কে আর
ঘন অন্ধ কুয়াশায় চকিতে হারায়
যৌথ আর্তনাদ; ইদানীং
ভীতিচিহ্নগুলো ক্রমে প্রকট ভঙ্গিতে ছোট বাসগৃহটির
দরজা জানালা জুড়ে দাঁড়ায়, ওদের চাউনিতে তুষারের
শীতলতা জমে থাকে। দোর থেক ফিরে যায় উদাস বাউল।

ছোট বাসগৃহটিতে বসে আছেন যে প্রৌঢ়, তাঁর
মনে হলো, শহর ধূসর এক চাদর জড়িয়ে বসে আছে
শহরের অন্য কোনওখানে ভ্রমণে যাওয়ার বড়
সাধ সেই কবে থেকে, অথচ চলৎশক্তি নেই এতটুকু,
সেহেতু নিশ্চল, জবুথবু বসে আছে; রোজ নানা
পীড়ন সইছে মুখ বুজে আর অসহায় দেখছে কত না
দারুণ ইঁদুর-দৌড় চৌরাস্তায়, অলিতে গলিতে,

তিনটি পুস্তক, সম্ভবত কবিতার, মরালপ্রতিম উড়ে
আসছে পৌঢ়ের দিকে। ওদের অস্তিত্ব থেকে ঝরে
এক্তাপ্লুত বেদনার সুর, বুঝি কোনও তীরন্দাজ
তিনটি পাখির বুক ভেবে ছুঁড়েছিল তীক্ষ্ম শর। এখন তো
আহত পুস্তকগুলো ইতস্তত ধুলোয় থাকবে পড়ে, পৌঢ়
লিখবেন এলিজি; কাঁদবে ঘাস, প্রজাপতি এবং আকাশ।
২২.১১.২০০০