একই স্বপ্ন দু’জনে দেখেছি
যেন কাল মরে যাবো ক্ষণকাল সেই কথা ভেবে
গোধূলির দিকে আমি বিদায়ের অস্ত্ৰ তুলে ধরি
গোধূলি কি ফসলের বিবর্তন? নাকি উল্লুকের
প্ৰশান্ত নাচের ভঙ্গি? দুঃখ ঝরে রক্তের মতন, ঝরে যায়
কিংবা রক্ত দুঃখের মতন? যেন কাল মরে যাবো
ক্ষণকাল সেই কথা ভেবে আমি গোধূলির কাছে
কালো শিল্প দীক্ষা নিতে আসি।
থামে না বাতাস, এত দীর্ঘশ্বাস তোমাকে মানায়?
বলো বলে চুপ করে চেয়ে থাকা কবরের পাশে বসা নয়
সুখ
ভাঁড়ারে জমানো আছে, যেমন ফুলের কাছে কঁচা পয়সা
রোজ ঝনঝনায়
আমি তার চেয়ে ঢের দূরে, আমি প্রত্যেক উত্তর
শেখাই প্রেতের কণ্ঠে, প্রত্যেক অনভিপ্রেত মুখ
গোধূলিকে মান্য করে, মাথায় ব্যাণ্ডেজ বাঁধা দু’একজন
হাসপাতালে মরে,
দু’একজন হাসাহাসি করে যায় বিকেল চারটেয় রেস্তোরাঁয়
অতিশয় চেষ্টা পেলে কোনো কোনো পাখি ডুব দেয়
লবণ সমুদ্রে
এবং ওঠে না।
কি যেন হয়নি শেষ, ঘুমের আবেশে অন্ধকারে
মনে পড়ে, না মনে পড়ে না, কিংবা মনে পড়া মনের গহ্বর
নারীর লজার মতো খুলে যায়, সন্তৰ্পণে নিজেকে ঠকিয়ে
দশদিকে চেয়ে দেখি, যেন কেউ হঠাৎ না দেখে, যেন চোখ
বিদায়ের হেমন্তের অপ্রেমের অসুখের বিস্মৃতির ললাট এড়িয়ে
মহিষ বাহন হয়ে ফিরে আসে, হাসে জ্যোৎস্না কপিশ মায়ায়–
মনে কেন এত খুশি–যেন একই বালিশে দু’জনে মাথা রেখে
আমি ও আমার মৃত্যু শুয়ে আছিচুপচাপ, শুয়ে আছি, যেন
একই স্বপ্ন দু’জনে দেখেছি।