ঋণ থাকে
কবিতা লেখার জন্য নদী আছে,
নৌকো কিংবা বেহুলার ভেলা, তাও আছে
যে মুহূর্তে লেখা হলো ‘চুর্ণী’ এই শব্দখানি
তখনই স্রোতের কাছে ঋণ জমা হলো
যার জানবার তাকে জানতে হয়, জানে, ঠিকই জানে।
পাগলা বাতাস এসে উড়িয়েছে ছবি, কিছু রং ফলিয়েছে
মন্দার বা তিল ফুলে সব ফিরে আসে
নিম্ননাভি অলসগমনা কেউ চলে গেল অমন চকিতে
দেওয়ালেও ফিরবে না, যদি ইচ্ছে হয়?
সবলে নারীকে কেউ আজও পায়নি জানা ইতিহাসে।
বকুল গাছের লাস্য, আলিঙ্গনও মুছে ফেলা যায়
প্রেমের তমসা নিয়ে লেখা যায় দুশো তিনশো পাতা
তারপরও বাকি থাকে, আকস্মিক বিস্মৃত মুহূর্ত
যেতে হয়, নদীর কিনারে যেতে হয়
হয়তো বা নৌকো নেই, বেহুলা তো আদপেই নেই
কলার মান্দাসে
আমাকেই একা একা ভেসে যেতে হবে।