ঋগ্বেদ ১০।১৪৫
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ১০ম মণ্ডল সূক্ত ১৪৫
সপত্নী পীড়ন দেবতা। ইন্দ্রাণী ঋষি।
১। এই যে তীব্র শক্তিযুক্ত লতা, ইহা ওষধি, ইহা আমি খননপূর্বক উদ্ধৃত করিতেছি, ইহাদ্বারা সপত্নীকে ক্লেশ নেওয়া যায়, ইহা তার স্বামীর প্রণয়লাভ করা যায়।
২। হে ওষধি! তোমার পত্ৰ উন্নতমুখ, তুমি স্বামীর প্রিয় হইবার উপায় স্বরূপ, দেবতারা তোমাকে সৃষ্টি করিয়াছেন, তোমার তেজঃ অতি তীব্র, তুমি আমার সপত্নীকে দূর করিয়া দাও; যাহাতে আমার স্বামী আমারই বশীভূত থাকেন, তুমি তাহা করিয়া দাও।
৩। হে ওষধি! তুমি প্রধান; আমি যেন প্রধান হই, প্রধানের উপর প্রধান হই। আমার সপত্নী যেন নীচেরও নীচ হইয়া থাকে।
৪। সেই সপত্নীর নাম পর্যন্ত আমি মুখে আনি না। সপত্নী সকলের অপ্রিয়, দূর অপেক্ষা আরও দূরে আমি সপত্নীকে পাঠাইয়া দিই।
৫। হে ওষধি! তোমার বিলক্ষণ ক্ষমতা, আমারও ক্ষমতা আছে। এস আমরা উভয়ে ক্ষমতাপন্ন হইয়া সপত্নীকে হীনবল করি।
৬। হে পতি! এই ক্ষমতাযুক্ত ওষধি তোমার শিরোভাগে রাখিলাম। সেই শক্তিযুক্ত উপাধান (বালিশ) তোমার মস্তকে দিতে দিলাম। যেমন গাভী বৎসের প্রতি ধাবিত হয়, যেমন জল নিম্নপথে ধাবিত হয়, তেমনি যেন তোমার মন আমার দিকে ধাবিত হয় (১)।
————
(১) এই সূক্তটি সপত্নীদিগের উপর প্রভুত্ব লাভের মন্ত্র। এটা অপেক্ষাকৃত আধুনিক তাহা বলা বাহুল্য। এসূক্ত রচনার সময় বহুবিবাহ প্রচলিত ছিল এবং সপত্নীদিগের মধ্যে বিশেষ বিদ্বেষ ভাব ছিল, তাহা স্পষ্টই দৃষ্ট হইতেছে।